• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গেল বছর বন্দুক হামলায় ২৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে

ইমরুল হাসান : আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৭ মে ২০২২, ১৩:৫৩
গেল বছর বন্দুক হামলায় ২৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে

একটা প্রবাদ প্রচলিত হয়ে গেছে, মার্কিনিরা এখন আর বন্দুকধারীর গুলিতে মানুষ হত্যার খবরে চমকে ওঠে না। এটি অনেকটাই তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে।

ঘরে-বাইরে, উপাসনালয়ে, স্কুল, নাইটক্লাব, বার কিংবা কোনো উৎসবে একের পর এক বন্দুক হামলায় সাধারণ মানুষ নিহতের খবর মার্কিনিদের অসাড় করে তুলেছে! পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হ্যান্ডগান, শটগান ও রাইফেল বিক্রির সংখ্যা আগের দুই দশকের চেয়ে তিন গুণ বৃদ্ধি বেড়েছে। 'এডউইক' নামের ওই শিক্ষা গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন মুলুকে গেল বছর বন্দুকযুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ২৬টি। যা দেশটির নীতিনির্ধারকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে, আতঙ্ক বেড়েছে জনমনে।

শুধু হামলাকারীর গুলিতেই নয়, নিজের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আত্মহত্যার ঘটনাও বেশি। ২০১৮ সালের দুর্ঘটনা ও সহিংসতায় অস্ত্রের গুলিতে নিহতের দিক থেকে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ২৮তম। হামলাকারীদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ এবং অবসাদগ্রস্ত বলে জানা গেছে।

অবাক করা হলেও সত্য যে, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশটিতে মোট জনসংখ্যার চেয়ে এখন আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা বেশি। শুধু তাই নয়, ধনী দেশগুলোর মধ্যে বন্দুক হামলায় মৃতের সংখ্যায়ও শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটলেও এই সমস্যার সুরাহা করা যায়নি। সর্বশেষ টেক্সাসের স্কুল হামলায় ১৯ শিশুসহ ২১ জনের প্রাণহানির ঘটনায় আঁতকে উঠেছে সবাই।

টেক্সাসে হামলাকারী ১৮ বছর বয়সী তরুণ সালভাদর রামোস, আর্থিক কারণে স্কুল থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। তার এক সহপাঠী জানান, হামলার অন্তত তিন দিন আগে নিজের ইনস্টাগ্রামে দুটি এআর-ফিফটিন রাইফেলের ছবি পোস্ট করেছিলেন রামোস। সিএনএন জানায়, নিজের পোশাক আর পারিবারিক দৈন দশার কারণে প্রায়ই কটূক্তির শিকার হতেন তিনি।

২০১৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ইসলা ভিস্তাতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের ঘটনার পর দ্য ওনিয়ন লিখেছিল, 'এটা প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই এবং আমেরিকাই একমাত্র দেশ, যেখানে রুটিনমাফিক এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটছে!'

গিফোর্ডস ল সেন্টার টু প্রিভেন্ট গান ভায়োলেন্স ইতোমধ্যে লুইজিয়ানা ও আলাস্কা অঞ্চলের অস্ত্র-নিরাপত্তা আইনকে অকার্যকর ঘোষণা করেছে। এই দুটি স্থানে অস্ত্র হামলায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। তবে ম্যাসাচুসেটস, নিউইয়র্ক ও নিউজার্সি তাদের কার্যকরী আইনের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে আছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এক জায়গা থেকে অন্যত্র আগ্নেয়াস্ত্র পরিবহন যতদিন সহজ থাকবে, ততোদিন আইনপ্রণেতারা কঠোর নীতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হবেন। এ ছাড়া, অস্ত্র শিল্প থেকে রাজনীতিবিদদের টাকা নেওয়া, গান লবির মাধ্যমে ডাক্তারদের চাপ দেওয়া, পানির দরে বন্দুকের গুলি বিক্রি, সর্বোপরি মানসিকভাবে অসুস্থদের কাছে অস্ত্র বিক্রি যতদিন বন্ধ না হবে, ততদিন মার্কিন মুলুকে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উচিত অংশীদার হওয়া, শত্রু নয়: শি জিনপিং
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থাকলে মৃত্যু হতে পারে ইউরোপের : ম্যাক্রোঁ
X
Fresh