করোনার নতুন ভয়ঙ্কর ধরন শনাক্ত
দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা করোনাভাইরাসের নতুন আরেকটি শক্তিশালী ধরন শনাক্ত করেছেন। তারা বলছেন, সি.ওয়ান.টু নামের এই ধরনটি বিদ্যমান যেকোনো ধরনের চেয়ে বেশি সংক্রামক এবং টিকা প্রতিরোধী কিনা তা এখনও জানা যায়নি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস (এনআইসিডি) এবং কোয়াজুলু নাটাল রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফর্মের (কেআরআইএসপি) বিজ্ঞানীরা এই ভ্যারিয়েন্টটি খুঁজে পেয়েছেন। তারা বলছেন, চলতি বছরের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবার এই ধরনটি শনাক্ত হয়। এরপর একে একে চীন, সুইজারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডেও পাওয়া যায় এ ধরন।
সিএনএনের বরাত দিয়ে এনআইসিডি’র ভাইরোলজিস্ট পেনি মুর জানিয়েছেন, তারা নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের ওপর নজর রাখছেন। বর্তমানে আমরা এই ভ্যারিয়েন্ট নিষ্ক্রিয় করতে দক্ষিণ আফ্রিকায় সার্স-কোভ-২ সংক্রমণ পরবর্তী বা ভ্যাকসিনেশন থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবডির প্রভাব মূল্যায়ন করছি। অনলাইনে প্রি-প্রিন্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানান গবেষকরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের মে মাস থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাজুড়ে তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণের সময় এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও ওশেনিয়ার সাত দেশেও এই ভাইরাসের দেখা মিলেছে। সার্স-কোভ-২ এর ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণ মূলত সংক্রমণের নতুন ঢেউ সংশ্লিষ্ট।
তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ না কি ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে মনোনীত করবে তা জানতে আরও সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। আর তাই কোনো গ্রিক হরফে এর নামকরণ করা হয়নি।
সিএনএনের বরাত দিয়ে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-৯ বিষয়ক টেকনিক্যাল প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ বলেন, বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন কাজ এখনো চলমান। ভাইরাসের অভিযোজন বুঝতে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সে অনুযায়ী আমাদের কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কৌশলগত ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে।
এমআই/পি
মন্তব্য করুন