• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সৌদি আরবে মরুর বুকে গড়ে উঠেছে বিশাল হরিণের খামার (ভিডিও)

অরণ্য গফুর

  ০৬ আগস্ট ২০২১, ০৯:২৯

হরিণের পদচারণায় মুখর ধূসর মরুভূমি। শুনতে অবাক লাগলেও, সৌদি আরবের আলগাছিম প্রদেশে বিশাল খামারে দেখা মিলছে এমন দৃশ্যের। সেখানকার প্রবাসী শ্রমিকরা স্বপ্ন দেখেন, বাংলাদেশেও হবে হরিণের এমন খামার।

বিশাল তৃণভূমি সমৃদ্ধ সবুজ বনে নির্বিঘ্ন পদচারণা হলেও, এখন এই চিত্রল হরিণগুলোর বাস সৌদি আরবের মরুর বুকে। আল গাছিম প্রদেশের মরু বেষ্টিত প্রত্যন্ত এলাকায়, বিশাল এ খামার গড়ে তুলেছে, আল ফৌজান কোম্পানি। চিত্রল ছাড়াও কয়েক প্রজাতির প্রায় চার হাজার হরিণ, অন্যরকম আবহ তৈরি করেছে খামারটিতে।

লাজুক প্রকৃতির প্রাণী হলেও, খামারের হরিণগুলো বেশ মিশুক। শিশুদের সঙ্গে তাদের নিত্য মিতালী। তাই সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হরিণ দেখতে ছুটে আসেন মানুষেরা। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকায়, ছুটির দিনগুলোতে আনন্দ উপভোগে হাজির হন, প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। খামারেই চিড়িয়াখানার স্বাদ খুঁজে পান দর্শনার্থীরা।

দর্শনার্থীরা জানান, ঈদের ছুটিতে আমরা পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরার জন্য আসছি। এখানে অন্যরকম একটা পরিবেশ বিরাজ করছে। কেউ না আসলে বুঝতে পারবে না স্থানটি কেমন।

হরিণের পাশাপাশি খামারটিতে রয়েছে মরুভূমির জাহাজ উট। পরিবহন প্রাণী খ্যাত ঘোড়ার সঙ্গে রয়েছে গাধাও। মাংস উৎপাদনের অন্যতম জন্তু হিসেবে জন্য রয়েছে ছাগল ও ভেড়া। মুরগি ও রাজহাঁসের পাশাপাশি পাখির মধ্যে রয়েছে নানা রঙের ও জাতের কবুতর। সফর অপূর্ণ থেকে যাবে উটপাখি দর্শন না করলে।

খামারটিকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করেছে খেজুর ও লেবুর বাগান। যা ক্ষণিকের জন্য আগতদের ভুলিয়ে দেয়, মরুভূমির মধ্যে থাকার কথা। পর্যটক আকর্ষণের এটাও একটি কারণ।

খামারের পশুপাখি বাজারজাত করা হয় সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে। একেকটি হরিণের দাম রাখা হয়, আড়াই থেকে তিন হাজার রিয়াল। খামারটির রক্ষণাবেক্ষণে আছেন ৩০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক।

খামারটি রক্ষণাবেক্ষণে থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকরা জানান, বাংলাদেশ সরকার যদি আমাদের অনুদান দিলে দেশে আমরা খামার করার সুযোগ পেতা। সরকারও লাভবান হতো আমরা নিজেরাও লাভবান হতাম। নজর দিলে শখ পূরণের পাশাপাশি দেশে বিনোদন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হবে।

এসজে/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh