বিষাক্ত পানীয় খেয়ে দাঁত কালো করতেন জাপানের নারীরা
সৌন্দর্য বর্ধনে যুগে যুগে নারীরা নানান কাণ্ড ঘটিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সৌন্দর্যে খুশি হতে না পেরে নিজেদেরকে আরও আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপনের জন্য নানান কাণ্ড ঘটান নারীরা।
সেরকমই জাপানি নারীরা তাদের সৌন্দর্য বাড়াতে এক অদ্ভুত প্রথা পালন করতেন। তারা দাঁতের মাধ্যমেই ফুটিয়ে তুলতো সৌন্দর্য।
সৌন্দর্যবর্ধনের ওই জাপানি প্রথার নাম ওহাগুরো বা দাঁত কালো করা। সেখানকার নারীরা তাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে দাঁতের রং কালো করতেন।
তবে এই দাঁত কালো করার প্রক্রিয়া শরীরের জন্যে ভালো ছিলো না মোটেও। অনেকেই মারা যেতেন দাঁত কলো করার বিষক্রিয়ায়। ১৯ শতকের শেষেও এই রীতির চল ছিল দেশটিতে। মেইজি সময়কালে এই প্রথা আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে থাকে।
জানা গেছে, দাঁত কালো করতে তারা ব্যবহার করত এক ধরনের পানীয়। এই পানীয় আবার তৈরি করা হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। কিছু লোহা প্রথমে চা বা ভিনেগারে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখা হতো।
লোহা যখন জারণ হয়ে যায় তখন তরলটি কালো রঙের হয়ে যেত। এর স্বাদ খুব একটা ভালো না হওয়ায় এর সঙ্গে আবার মেশানো হত দারুচিনি, লবঙ্গ। এই পানীয় তাদেরকে দিনে দুই তিনবার পান করতেই হতো। অন্তত একবার পান করা তো আবশ্যিক ছিল। এই পানীয় আবার কিছুটা বিষাক্ত ছিল।
জানা গেছে, হিয়ান আমলে অর্থাৎ অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর কোনো এক সময়ে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেই সময়ে শুধু অভিজাত নারীরাই দাঁত কালো করতে পারতো।
তাদের ওই দাঁত কালো করার আরেকটি যুক্তি হলো যে চোখের মনি যেহেতু কালো তাই দাঁত সাদা থাকলে হাসি নাকি সুন্দর লাগে না। দাঁতের সেই সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে তারা প্রচুর পরিমাণে সাদা মেকআপ করতেন চালের গুঁড়ো মেখে। সূত্র : অ্যানসিয়েন্ট অরিজিনস
টিএস
মন্তব্য করুন