ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য ইন্দোনেশিয়াকে ‘অর্থের টোপ’
জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়াকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ‘অর্থের টোপ’ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শেষ কয়েক মাসে চারটি আরব রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পর ইন্দোনেশিয়াকেও কাছে টানতে কৌশল তৈরি করেছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করলে ইন্দোনেশিয়াকে আরও বিলিয়ন বিলিয়ন আর্থিক সহায়তা দেয়া হতে পারে। সোমবার জেরুজালেমে কিং ডেভিড হোটেলে এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স করপোরেশনের (ডিএফসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাডাম বোয়েহলার।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি এই প্রতিষ্ঠান বিদেশের মাটিতে বিনিয়োগ করে থাকে। সেক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া যদি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশটি যে আর্থিক সহায়তা পায় তা দ্বিগুণ হতে পারে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়াকে ১০০ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
- আরো পড়ুন.. মার্কিন সামরিক একাডেমিতে নকল করে ধরা ৭৩ ক্যাডেট
- সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকীর আগে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা করতে পারে ইরান
- যুদ্ধে আর্মেনিয়ার ১৪ হাজার সেনা নিহত: প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
- সামরিক খাতে রেকর্ড পরিমাণ ব্যয় বৃদ্ধি জাপানের
বোয়েহলার বলেন, আমরা এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলছি। যদি তারা রাজি হয় তাহলে আমরা খুশি মনে বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি আর্থিক সহায়তা করবো। এমনকি ডিএফসি যদি ইন্দোনেশিয়ায় ‘ আরও ১০০ বা ২০০ কোটি ডলার’ বিনিয়োগ করে তাতেও তিনি অবাক হবেন না বলে জানান বোয়েহলার।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো। মার্কিন ও ইসরায়েলি নেতারা বলছেন, আরও বেশকিছু দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে বলে তারা আশাবাদী। যুক্তরাষ্ট্রের ওমান এবং সৌদি আরবের ব্যাপারে তারা আশাবাদী।
এ
মন্তব্য করুন