অমরত্বের আশায় গাছে ঝুলে যা করলেন ধর্মগুরু ও ২ শিষ্য
ভারতের মহারাষ্ট্রের থানে জেলার সাহাপুর থানা এলাকায় অমরত্ব লাভের আশায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বঘোষিত এক ‘ধর্মগুরু’ ও তার দুই শিষ্য। এই ঘটনার পর স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতের গণমাধ্যমের সংবাদে জানানো হয়েছে, প্রায় কয়েকমাস ধরেই মহারাষ্ট্রের থানে জেলার সাহাপুরের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সের নীতীন বেহেরা নিজেকে তান্ত্রিক বা ধর্মগুরু বলে এলাকায় দাবি করেছিলেন। এরই মাঝে বেশ কয়েকজন সঙ্গী জুটিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যকলাপ করে আসছিলেন।
গত ১৪ নভেম্বর হঠাৎ করে ওই এলাকার আরও দুই তরুণকে সাথে নিয়ে কথিত ধর্মগুরু নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) স্থানীয় জঙ্গলের একটি গাছে ওই দুই তরুণসহ নীতীনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
সেখানকার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত ১৪ নভেম্বর ওই গ্রামের মহেন্দ্র ধুভালে (২৮) এবং তার ভাইয়ের ছেলে মুকেশ ঘাভত ও এক কিশোরকে সাথে নিয়ে স্থানীয় ওই জঙ্গলে যান নীতীন। হঠাৎ করে নীতীনের সাথে থাকা ব্যক্তিদের গলায় দড়ি দিয়ে গাছ থেকে ঝুলে পড়লে তারা সকলে অমর হয়ে যাবে।
এরকম কথা বার্তা শুনে কিশোর পালিয়ে যায়। এছাড়া নীতীনসহ বাকিরা গাছ থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়েন। বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হলে পুলিশের কাছে ঘটনাটির সম্পর্কে তথ্য দেন পালিয়ে আসা ওই কিশোর। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হলেও এখনও তদন্ত করছে পুলিশ।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন