এবার কৃষ্ণসাগরে অনুসন্ধান জাহাজ পাঠাচ্ছে তুরস্ক
ভূমধ্যসাগর থেকে খনিজসম্পদ উত্তোলন নিয়ে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে চলা বিরোধ চলছে তুরস্কের। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে কৃষ্ণসাগরে আরেকটি অনুসন্ধান জাহাজ পাঠাচ্ছে এরদোয়ান সরকার। আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। খবর ডেইলি সাবাহ’র।
গ্রিস এবং সাইপ্রাস এই এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। ফলে বিরোধের সূচনা হয়। তেল-গ্যাস উত্তোলনের জন্য ড্রিলিং পরিচালনা করে তুরস্ক তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ দেশ দুটির। বিতর্কিত অঞ্চলটিতে তিন পক্ষই তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে যাচ্ছে।
তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রী ফাতেহ দোনমাজ রোববার জানান, কৃষ্ণসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আরেকটি জাহাজ পাঠাচ্ছে তার সরকার। ‘কানুনি’ নামের জাহাজটি কাজ শুরু করবে দিবে টুইট বার্তায় নিশ্চিত করেন তিনি।
তবে কৃষ্ণসাগরের ঠিক কোন জায়গায় এ অনুসন্ধান চালানো হবে তার স্পষ্ট ধারণা দেননি দোনমাজ।
সম্প্রতি লিবিয়া সরকারের সঙ্গে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানবিষয়ক চুক্তি সইয়ের পর থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের খনিজসম্পদ নিয়ে তুরস্ক, গ্রিস ও সাইপ্রাসের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
আগস্টে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ভূমধ্যসাগরে একটি অনুসন্ধানী জাহাজ এবং এর সঙ্গে ছোটখাটো একটি যুদ্ধজাহাজের বহর পাঠায় তুরস্ক। সাগরের ওই এলাকাটিকে নিজেদের বলে দাবি করে গ্রিস। তবে তুরস্ক বলছে, সেখানে গবেষণার সমান অধিকার রয়েছে তাদেরও।
এ নিয়ে প্রায় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে দুই দেশের মধ্যে। বিরোধের মধ্যে অঞ্চলটিতে একাধিকবার সামরিক মহড়া চালিয়েছে তুরস্ক। গ্রিসও তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে বিশাল কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় কাউন্সিলের বৈঠকের শীর্ষ এজেন্ডায় রয়েছে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যকার বিবাদের বিষয়টি।
ওয়াই
মন্তব্য করুন