‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রযাত্রায়’ ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তি

ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে। জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবীর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ আল নাহিয়ান এক যুক্ত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘এই ঐতিহাসিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রযাত্রায় সাহায্য করবে’ বলে তারা আশা করেন। খবর বিবিসির।

তিন নেতা জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের বিনিময়ে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের বিশাল ফিলিস্তিনি এলাকা ইসরায়েলের অংশ করে নেয়ার কাজ আপাতত স্থগিত রাখবে।

এদিকে ইসরায়েল-আমিরাতের স্বাক্ষরিত চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাস। হামাসের পক্ষ থেকে এই চুক্তিকে ফিলিস্তিনিদের পিঠে ছুরিকাঘাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে এতদিন পর্যন্ত কোনও উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না।

তবে ঐ অঞ্চলে ইরানের প্রভাব বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছিল।

ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর নেতানিয়াহু দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা বলেছেন, ‘এটি ওই অঞ্চলে কূটনীতির বিজয়।’

তিনি একে আরব-ইসরায়েল সম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে বর্ণনা করে বলেন, এর ফলে উত্তেজনা কমবে এবং অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।

এটি ইসরায়েলের সঙ্গে তৃতীয় কোনও আরব দেশের শান্তি চুক্তি। এর আগে মিশর ১৯৭৯ সালে এবং জর্ডান ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে।

আগামী দিনে ইসরায়েল-আমিরাতের প্রতিনিধিরা বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি ফ্লাইট, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করার জন্য বৈঠকে বসবেন।

আরও পড়ুন: প্রণব মুখার্জি গভীর কোমায়

ওয়াই