বিস্ফোরণে ধ্বংস খাদ্য ভাণ্ডার, ভয়াবহ খাদ্য সংকটের আশঙ্কা লেবাননে
তিনদিন আগে প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে লেবাননের রাজধানী বৈরুত। প্রবল এই বিস্ফোরণের ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে ধস নেমেছে দেশটি। যা প্রতিফলিত হয়েছে এই দেশের অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী রাউল নেহমের কথায়।
তার বক্তব্য, বৈরুতের বিস্ফোরণ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মত অর্থনৈতিক সামর্থ্য নেই তার দেশের। তিনি এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন। লেবাননের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ভয়াবহ বিস্ফোরণে শত শত কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
শুধু তাই নয়, প্রধান শস্য ভাণ্ডারটিও ধ্বংস হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। ওই শস্য ভাণ্ডার ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় সে দেশে এখন যে পরিমাণ শস্য মজুত রয়েছে তাতে বড় জোর আর এক মাস চলবে বলে মনে করছে সরকারের কর্মকর্তারা।
বৈরুত বন্দরের পাশে যে জায়গাটিতে প্রবল এই বিস্ফোরণ ঘটে তার ঠিক পাশের সাদা রঙয়ের বিশাল ভবনটি হলো লেবাননের প্রধান খাদ্য ভাণ্ডার। দিনের পর দিন বিদেশ থেকে শস্য আমদানি করে ওই সাদা বাড়িতেই মজুত করা হতো।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় এক লাখ ২০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার এই ভবনটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে খাদ্য ভাণ্ডার। আর তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে কার্যত মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে সে দেশের কর্মকর্তাদের।
তবে লেবাননের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বের কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আসলে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা নেয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চিকিৎসায় সহযোগিতা করার প্রস্তাব দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান।
তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে বৈরুতে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। তবে বৈরুতে বিস্ফোরণ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস আরও বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ
মন্তব্য করুন