ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট বাড়িয়েছে ভুলতা-গাউছিয়া ফ্লাইওভার (ভিডিও)
এমনিতেই সারা বছর ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট ভোগান্তি পোহাতে হয় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীদের। তার ওপর এবার ঈদে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ এবং নারায়ণগঞ্জের নির্মাণাধীন ভুলতা-গাউছিয়া ফ্লাইওভার তাদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।
ঈদের আগেই সব মহাসড়কের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা-গাউছিয়া ফ্লাইওভারের। ঈদ যাত্রায় স্বস্তি আনতে তড়িঘড়ি করে কাজ চলছে ফ্লাইওভারের দুই পাশেই। তাই ছোট হয়ে এসেছে সড়ক। যেখানে-সেখানে নির্মাণসামগ্রী রাখায় এবং নানা অব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন আছে যাত্রীদের।
বাসযাত্রী আলমগীর হোসেন বলেন, একই জায়গায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছে বাসটি।
প্রশাসন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দিকে একটু দৃষ্টি দিলেই এমন যানজট হবে না বলে দাবি করেন আরেক যাত্রী।
প্রতিদিনই এমন যানজট হয় বলে জানান আরেক বাসচালক।
এদিকে নানা অব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ যানজটে যাত্রীদের নাকাল হতে হচ্ছে সিলেট-গাজীপুর বাইপাস সড়কের অধিকাংশ স্থানে।
স্থানীয় একজন জানান, এই মহাসড়কে সবসময়ই যানজট লেগে থাকে। আরেকজন জানান, গত তিনদিনে এখানে ৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে এই মহাসড়কে। সিলেট-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেশ কিছু অংশে মাঝেমধ্যেই দীর্ঘ যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
সড়ক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, গুরুত্ব বিবেচনায় যানজটের সবচেয়ে বড় উৎস হলো মোড়। কারণ ৪ রাস্তার মোড় হলে ৪টি রাস্তায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই মোড়ে যেন কেউ বিশৃঙ্খলা বা অব্যবস্থাপনা না করতে পারে সেদিকে প্রশাসনের দৃষ্টি দিতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা সড়কগুলো পরিদর্শন করেছি। যাত্রী দুর্ভোগের কথা মথায় রেখে, ইতোমধ্যে অধিকাংশ জায়গাতে কাজ শেষ হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অন্যান্য জায়গার কাজও শেষ হয়ে যাবে।
আঞ্চলিক বা জাতীয় মহাসড়কের যেকোনও সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানে সরকার প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কে/পি
মন্তব্য করুন