‘আসুন, সুরগাঁও ঘুরে যান’
‘বাংলা নাট্যসাহিত্যের প্রথম জাদুবাস্তব নাটক সুরগাঁও। যেখানে একজন লোভী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক চুরি করেন প্রত্নস্মারক আর একজন দরিদ্র পানাই বিশ্বাস প্রত্যহ বৃক্ষ সেবা করে প্রশান্তি লাভ করেন অন্তরে।’এমনটাই জানালেন নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল মঙ্গলবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চায়ন শুরু হবে দেশ নাটকের প্রযোজনা ‘সুরগাঁও’। আসুন, সুরগাঁও ঘুরে যান।’
সুরগাঁও রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মাসুম রেজা। এটি দেশ নাটকের ২২তম প্রযোজনা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন মামুন, কুদ্দুছ, শাহেদ, মেঘলা, তামিমা, নয়ন, আশরাফুল আশীষ, জলি, শাফিজ আল মামুন, সমাপন সরকার, মেহনাজ পারভিন বনী, ফাহিম মালেক ইভান, রোশেন শরিফ প্রমুখ।
‘সুরগাঁও’নাটকের শুরুটা হয় আসমান ফকিরের জাদুর বাস্তবতা দিয়ে। তিনি ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা। তিনি দেখতে পান। সুরগাঁওয়ের পত্তনকারী আনাল ফকির ১৮০ বছর আগে এক রাতে গ্রাম থেকে উধাও হয়েছেন। তিনি ফিরে আসেন সুরগাঁওয়ে।
উধাও হয়ে যাওয়ার আগে কোনো একদিন বাঁশি বুড়ির হাতে দিয়ে যান এক মোহনবাঁশি। বলে যান, বাঁশির সুর দিয়ে মানুষের ভেতরের অসুরকে দূর করতে। সেই থেকে বাঁশি বুড়ি থানা থেকে আসামিদের চেয়ে নিয়ে এসে বাঁশি বাজানো শেখায়। আনাল ফকির ফিরে আসার পরই নতুন এক সঙ্কটের মুখোমুখি হয় সুরগাঁও।
সময়ের বিপরীতে ১৮০ বছর আনাল ফকির প্রত্নকাল ভ্রমণ করেছেন। তার ইচ্ছায় তিনি ভ্রমণ করেন ব্যাবিলন, স্যার টমাস মুরের সময়কালের ইংল্যান্ড, কুরুরাজ্য, দামেস্ক, সক্রেটিসের সময়কালের গ্রিসসহ অনেক জায়গা।
এসব স্থান ভ্রমণকালে ব্যাবিলনের রানি, স্যার টমাস মুর, পাণ্ডবভার্যা দ্রৌপদী, সক্রেটিসের বন্ধু ক্রিটো এবং দামেস্কোর আমির অমূল্য কিছু উপহার দেন আনাল ফকিরকে। কিন্তু কালের বিপরীতে ভ্রমণ এবং কালের গর্ভ থেকে মূল্যবান সামগ্রী চুরির অভিযোগে তাম্রসেনার দল ঢুকে পড়ে সুরগাঁওয়ে। শুরু হয় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। এভাবেই এগিয়ে যায় সুরগাঁও নাটকের কাহিনি।
নাটকটির সঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন শিমুল ইউসুফ, আবহসঙ্গীত: ইমানুর রশিদ খান। কণ্ঠ দিয়েছেন দিলরুবা খান, শিমুল খান, ইমানুর রশিদ খান। পোশাক পরিকল্পনা: ওয়াহিদা মল্লিক জলি, নৃত্য: মুনমুন আহমেদ। সহকারি নির্দেশক: অয়ন চৌধুরী এবং নির্দেশনা সহযোগী মামুন চৌধুরী রিপন।
আরও পড়ুন:
পিআর/পি
মন্তব্য করুন