ঈদে মাকে অনেক বেশি মিস করি : দীঘি
শিশুশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনবার অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এখনও দর্শকদের চোখে ভাসে সেই ছোট্ট দীঘির অভিনয় আর কানে বাজে তার মিষ্টি সংলাপ। দীঘি এখন আর শিশুশিল্পী নেই, দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছেন। চলছে ঈদুল ফিতরের আমেজ সর্বত্র। কেমন কাটল দিঘীর ঈদ? ঈদ নিয়ে আরটিভির সঙ্গে কথা হলো তার।
আরটিভি : ঈদ কোথায় করছেন?
দীঘি: খুব সহজভাবেই ঈদ কাটছে আমার। আমি এখন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে ঈদ করিনি। প্রতিবারই পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে ঢাকাতেই করেছি। এবারও করেছি। বাসায় আত্মীয়রা এসেছিল। বাসাতেই আড্ডা দিয়েছি সবার সঙ্গে।
আরটিভি : ছোটবেলায় ঈদ কেমন কাটত?
দীঘি : ছোটবেলার ঈদের দিনের পরিকল্পনাগুলোর কথা মনে পড়লে এখন হাসিই পায়। কিন্তু অন্যরকম এক ভালোলাগাও কাজ করে মনের মধ্যে। কত সহজ-সরল আর ভাবনাহীন ছিল শৈশবের ঈদ। সকালে গোসল সেরে বড়দের সালাম দিয়ে শৈশবের ঈদ শুরু হতো। বড়দের সালাম দিয়ে সালামির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম! সালামি নিয়ে সে কত কত স্মৃতি, কত কী কিনতাম! তখন একমাত্র সালামির টাকাগুলোকেই নিজের টাকা মনে হতো। এ ছাড়া তেমন টাকাই হাতে পেতাম না। তাই সালামি হাতে পেয়েই নানান পরিকল্পনায় বসতাম। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই করা হতো না সালামির টাকা দিয়ে।
আরটিভি : তারকা দীঘির ঈদ কীভাবে কাটে?
দীঘি : নায়িকা হওয়ার আগে থেকেই আমি ঈদে বাসাতেই থাকি। ঈদের পরের দিন কাছের কিছু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিই। তবে মজা লাগে যখন ভক্তরা এসে সেলফি নেয়। বিষয়টি আমি খুব ইনজয় করি। নায়িকা হিসেবে যতটা না আমাকে ভালোবাসে তার থেকে বেশি ভালোবাসে তারা সেই ছোট্ট দীঘিকে।
আরটিভি : ঈদে কোন বিষয়টি কষ্ট দেয়?
দীঘি : ঈদ মানে আনন্দ, পরিবারের সবার সাথে যতই মজা, আনন্দ করি না কেন ঈদে আমারকে খুব কষ্ট দেয় একটি বিষয়। সেটি হলো আমার মা। কারণ, ঈদে আমার সঙ্গে আমার মা থাকে না। বড় হওয়ার পর মায়ের সাথে আর ঈদ করা হয়নি। শৈশবে ঈদের দিনে মায়ের হাতের রান্না খেতাম মজা করে। জগতের সব মায়ের মতো আমার মাও রান্না করতেন অনেক মজা করে। আজ মা নেই। তাই এখন ঈদের দিনের সব রান্না আমিই করি। ঈদে মাকে অনেক বেশি মিস করি।
মন্তব্য করুন