ইমন-সারিকার গুড মর্নিং গুড নাইট

চৈত্র সংক্রান্তিতে আরটিভিতে প্রচার হবে নাটি বিস্কুট নিবেদিত স্পেশাল ড্রামা গুড নাইট গুড মর্নিং। মাইদুল রাকিবের রচনা ও পরিচালনায় এ নাটকে অভিনয় করেছেন ইমন, সারিকাসহ আরো অনেকে। নাটকটি প্রচার হবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে।

নাটকে দেখা যাবে, ৬ বছর ধরে এক মেয়েকে পছন্দ করে শুভ। মেয়েটি যখন নবম শ্রেণিতে পড়ে তখন থেকে। এখন সেই মেয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। তবুও তার পিছু ছাড়েনি ছেলেটি। এখনো সমানে ভালোবেসে যাচ্ছে। কিন্তু মেয়ে এখনো কিছুই জানে না। প্রতিদিন ক্লাস ছুটির পথে মেয়েটিকে দুর থেকে দেখে পালিয়ে যায়। মেয়েটিকে ভয়ে সামনে গিয়ে কিছু বলতে পারে না। তবুও এতেই সে এক ধরনের শান্তি পায়।

মেয়েটি দেখতে এতোই সুন্দরী যে, তাকে ৬ বছর ধরে এক পলক দেখার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা যায়। ভার্সিটির হাজারো মেয়ের মধ্যে অন্যতম। মেয়েটির নাম নিশি। তার প্রতিদিন ঘুম ভাঙে সকাল ৮টায় অচেনা এক নাম্বার থেকে এসএমএস পেয়ে। রাতে শুতে যায় তা পেয়ে। কিন্তু সে জানে না কে এ মানুষ। নাম্বারটা পেইন নামে সেভ করা। তবে ফোন থেকে নানা সময়ে পাওয়া এসএমএস-এর প্রতি তার এক ধরনের প্রেম তৈরি হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও জানতে পারেনি কে এ এসএমএস পাঠায়।

অবশেষে শুভ বন্ধুদের চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েটিকে আই লাভ ইউ বলবে। তা বলার আগে কিছু কাণ্ড ঘটায় যাতে নিশি বুঝতে পারে তাকে কেউ ভালোবাসে। যেমন-নিশি একদিন ক্লাস শেষে আচার কিনতে একটা বাচ্চাকে ডাক দেয়। কিন্তু এক কাপল তাকে ডাক দিলে সে আগে তাদেরকে দিয়ে পরে তার কাছে যায়। এতে সে রাগ করে আচার না কিনে বাসায় চলে যায়।

পরের দিন দেখা যায়, ১০ জন আচার বিক্রেতা ক্লাস শেষ হবার পর তার পেছনে পেছনে ঘুরছে। তারা আর কোথাও আচার বিক্রি করে না। নিশি রাস্তা পার হবার সময় ভয় পেলে ১০টা বাচ্চা হাতে হাত ধরে বেরিকেড দিয়ে তাকে পার করে। এতে নিশি অবাক হয়। এরপর সে বান্ধবীর সঙ্গে প্লান করে বোরকা পরে এসে বের করে নেপথ্যে কে আছে।

শুভ সবকিছু স্বীকার করে এবং তাকে ৬ বছর ধরে ভালোবেসে যাবার কথা বলে। নিশি হাসতে থাকে এবং বলে ফাজলামি করার জায়গা পান না। ৬ বছর ধরে ভালোবাসেন আর আমি আপনাকে চিনি না। শুভর সাহস বেড়ে যায় এবং পরের দিন শাহবাগ থেকে যতো কালারের গোলাপ পাওয়া যায় তা সংগ্রহ করে তার সামনে আসে। নিশি ফুল পছন্দ না করায় পরের দিন এক ছড়ি কাঁচা আম নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। নিশি তাকে জানিয়ে দেয়, তার বিয়ে ঠিক; সে এঙ্গেজ। তখন শুভ কেঁদে কেঁদে বলে তাকে ভালো না বাসলে এ শহরে আন্দোলন ও মানববন্ধন হবে। তাকে সব সময় ভাইয়া ডাকাতে আন্দোলনের নাম দেয় (ভাইয়াকে ভালোবাসতে হবে। পরের দিন নিশি ভার্সিটিতে যেতে অবাক হয়ে যায়। বাসার নিচে দেয়ালে আর্ট করে লেখা (ভাইয়াকে ভালোবাসতে হবে। রিকশায় ওঠার পর রিকশাওয়ালা চাচাও এ কথা বলে। সেই বাচ্চাগুলো রাস্তার মোড়ে বড় ব্যানার ও হাতে হ্যান্ড মাইক নিয়ে মানববন্ধন করে।

তাদের দাবি (ভাইয়াকে ভালোবাসতে হবে)। এমনকি ভার্সিটির গেটে ও নোটিশ বোর্ডে এ কথা লেখা। নিশি পলিটিক্যাল ফ্যামিলির মেয়ে, বাসায় পুরো ঘটনা বলাতে বড় ভাই শুভকে বাসার গ্যারেজে বেঁধে প্রচুর মারধর করে। শুভ কথা দেয়, সে জীবনেও নিশির দিকে তাকাবে না। তার ৩ দিন পর জন্মদিনের আগের রাতে ১১.৪৫ মিনিটে নিশি ওয়েট করে কে তাকে বেশি ভালোবাসে সে সবার আগে তাকে উইশ করবে।

অপেক্ষার পালা শেষ হয় ১২টায়। নিশির জানালা থেকে পাশের বাসার ছাদে দেখা যায়, বিশাল আতশবাজী হচ্ছে উচ্চ শব্দে। নিশি কিছুটা ভয় পায় এবং অন্ধকারে এলিডি লাইডে “নিশি হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ” লেখা দেখা যায়। ছেলেটা গীটার হাতে গান গাচ্ছে, গানের রেস থাকতেই সেই পেইন নাম্বার থেকে ফোন আসে। দেখা যায়, দূর থেকে শুভই ওই নাম্বার থেকে কথা বলছে, হ্যাপি বার্থ ডে। নিশি বলে আপনিই এতো বছর আমাকে এসএমএস পাঠান !

শুভ পরের দিন একসঙ্গে কেক কাটার জন্য অনুমতি চায়। নিশি কিছুটা শুভর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। পরের দিন একটা স্পেশাল জায়গায় এসে সে দেখে একটা টেবিলে ২২টা কেক নিয়ে শুভ দাঁড়িয়ে আছে। জানতে চাইলে বলে, তোমার জীবনে যতো বার্থ ডে মিস করেছি; আগে সেই কেকগুলি কাটবো, পরে আজকেরটা। এরপর ফুলের বদলে পেপারে মোড়ানো একটা গিফট দেয়। তা খুলে দেখা যায়, এক ছড়ি কাঁচা আম। তা দেখে নিশি হাসি দেয় এবং আই লাভ ইউ বলে শুভকে জড়িয়ে ধরে। সঙ্গে সেই গানটার রেস চলতে থাকে।

ডিএইচ