হিজাব নিয়ে কোনো ছাড় দেব না: হালিমা
মার্কিন আলোচিত হিজাবী র্যাম্প মডেল হালিমা আদেন। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মডেলিং ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। ২৩ বছর বয়সী হালিমাকে ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগের ব্রিটিশ ও আরবি সংস্করণে প্রচ্ছদে দেখা গিয়েছিল।
হালিমা আদেন বলেন, বহু আগে মা মডেলিং ছাড়ার কথা বলেছিলেন। এখন মনে হচ্ছে, সেসময় এতোটা প্রতিবাদী না হলেও পারতাম। কারণ তিনিই একমাত্র মানুষ যে সবসময় আমার কল্যাণ কামনা করেন। দ্বীন ও দুনিয়ার ব্যাপারে তার পরামর্শে বরাবর অটল ছিলেন মা।
মডেলিং সিদ্ধান্তের কারণে অনেকের কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছেন হালিমা। তিনি বলেন, সমাজে হিজাব পরিধান করে চলাচল করা সত্যিই একটি কঠিন কাজ।
মডেলিংকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা নিয়ে আদেন জানান, সুযোগের চেয়েও বেশি গ্রহণ করি যা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিবিসিকে হালিমা বলেছিলেন, শালীনতা কোনো নির্দিষ্ট সংস্কৃতির জন্য নয়, কেবল বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের নারীর জন্যও নয় এটি। শালীনতাই হলো প্রাচীনতম ফ্যাশন।
হালিমার দাবি- চোখ ধাঁধানো ফ্যাশন দুনিয়া ইসলামিক মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে তাকে অনেকটাই দূরে সরিয়ে নিয়েছিল। চলমান মহামারি পরিস্থিতি ধর্ম সম্পর্কে বেশি প্রভাবিত করেছে তাকে। একজন মুসলিম নারী হিসেবে কী করা উচিৎ- সেটা চিন্তার সুযোগ তৈরি করে দিলো করোনা মহামারি। হিজাব পরে ফ্যাশন দুনিয়ায় টিকে থাকতে বহু চড়াই-উৎড়াই পার করেছি। আর হিজাবের মর্ম বুঝতে পারেন, এমন মুসলিম স্টাইলিস্টেরও বড় অভাব ইন্ডাস্ট্রিতে।
কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিম নারী হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে সফল হলেও নানা রকম চাপ অনুভব করেন হালিমা আদেন। তিনি বলেন, আমাকে ১০ বিলিয়ন ডলার দেয়া হলেও আমি হিজাব নিয়ে কোনো আপস করব না। আগের মতো হিজাব নিয়ে কোনো ছাড় দেব না।
সোমালিয়ান বাবা-মায়ের সন্তান হালিমার জন্ম কেনিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে। হালিমা মাত্র ছয় বছর বয়সে পা দেন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৬ সালে প্রথমবার, মিস মিনেসোটা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় হিজাব পরে অংশ নেন তিনি। এরপর তার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সূত্র: আল জাজিরা ও নিউ ইয়র্ক টাইমস।
জিএ/পি
মন্তব্য করুন