• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাণিজ্য সুবিধা পেতে ১১ দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

আরটিভি নিউজ

  ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:৪৩
Negotiations, countries, trade benefits, Commerce Minister
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামী দিনে বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ বা এফটিএ স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ভুটানের পাশাপাশি আরও ১১ দেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরের আলোচনা চলছে।

আজ শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ভুটানের সাথে বাংলাদেশের পিটিএ স্বাক্ষর উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

টিপু মুনশি বলেন, ভুটান ছাড়াও ১১টি দেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষরের আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। ফলে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বর্তমানে প্রাপ্ত বাংলাদেশের কিছু বাণিজ্য সুবিধা লোপ পাবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার ও নির্দেশনার ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি। চুক্তিটি স্বাক্ষরের পর বাংলাদেশ ভুটানের বাজারে মোট ১০০টি পণ্যে এবং ভুটান বাংলাদেশে মোট ৩৪টি পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে আরও পণ্য দু’দেশের তালিকায় সংযুক্ত করা হবে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক পিটিএ/এফটিএ স্বাক্ষরের যাত্রা শুরু হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। স্বীকৃতিদানের পর থেকে সুদীর্ঘ ৫০ বছর যাবত দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখার জন্য ভুটানের সাথে পিটিএ স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এ বছর মুজিব শতবর্ষ এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, আগামীকাল (০৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ভার্চুয়াল সংযোগের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করবেন। পিটিএ-তে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের পক্ষে ভুটানের ইকোনমিক এফেয়ার্স মিনিস্টার স্বাক্ষর করবেন। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে মোট বাণিজ্য ছিল ১২.৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ০.৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে ও একই সময়ে আমদানি করে ১২.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দু’দেশের বাণিজ্য ৫৭.৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। এ সময়ে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৭.৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে ভুটান থেকে আমদানি হয় ৪৯.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • ব্যবসা-বাণিজ্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গাম্বিয়ার সঙ্গে কৃষি ও বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক
কোকাকোলার বোতল সরিয়ে আলোচনায় রাজা
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১ মে)
X
Fresh