• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দেশের ইতিহাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রির নতুন রেকর্ড

অর্থনীতি ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ১৯ মে ২০২১, ২০:৫৪
দেশের ইতিহাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রির নতুন রেকর্ড
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে মার্চ মাসে নতুন করে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে আরও ১০ হাজার ৭৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরের (জুলাই ২০২০ থেকে ৩১ মার্চ ২০২১) প্রথম ৯ মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হলো ৮৫ হাজার ৯৯০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার।

দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনোই ৯ মাসে এত টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়নি। চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার যে পরিমাণ ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল তার থেকে অনেক বেশি ঋণ ৯ মাসেই নিয়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকে আমানতের সুদহার কম হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ এখন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা বেশি নিরাপদ মনে করছেন। তাই বিভিন্ন শর্ত পরিপালন করেও বিনিয়োগকারীরা এখন সঞ্চয়পত্রে ঝুঁকছেন।

এ দিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলতি বছরের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংক আমানতের বিপরীতে সুদ বা মুনাফা দিচ্ছে ৩ থেকে ৬ শতাংশ। বিপরীতে সঞ্চয়পত্রে সুদ পাওয়া যাচ্ছে ১১ শতাংশের বেশি।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে মোট ৮৫ হাজার ৯৯০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার। সুদ-আসল বাবদ গ্রাহকদের পরিশোধ করা হয়েছে ৫২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। এ হিসেবে নিট বিক্রির পরিমাণ হচ্ছে ৩৩ হাজার ২০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। চলতি বছরের মার্চে ১০ হাজার ৭৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮৯১ কোটি ২৮ লাখ টাকার এবং বাকি টাকা গ্রাহকদের সুদ-আসল শোধ করা হয়েছে।

সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যে জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ পুরো অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা নেবে বলে লক্ষ্য ঠিক ক‌রে সরকার। কিন্তু প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ৩৩ হাজার ২০ কোটি টাকার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এ খাত থেকে সরকারকে দুই হাজার ২৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকা ঋণ নিতে হয়েছিল।

জানা গেছে, সঞ্চয়পত্রের বিক্রির চাপ কমাতে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার ওপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১০ শতাংশ। সেই সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) বাধ্যতামূলক করা হয়। বর্তমানে ব্যাংক হিসাব ছাড়া সঞ্চয়পত্র কেনার কোনো সুযোগ নেই। ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা ও ব্যাংকের আমানতের সুদহার কম হওয়ায় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সঞ্চয়পত্রে ঝুঁকছেন সাধারণ গ্রাহকরা।

এসআর/

আরটিভি’ সর্বশেষ নিউজ পেতে ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন...

https://www.facebook.com/rtvnews247

মন্তব্য করুন

daraz
  • ব্যাংক-বীমা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আইপিএলের এক ম্যাচে যত রেকর্ড
ক্রিকেটে ইতিহাস লিখল গণ-অর্থায়নে খেলতে আসা ভানুয়াতু
ইডেনে রান উৎসব, রেকর্ডে ঠাসা ম্যাচে পাঞ্জাবের বিশ্বরেকর্ড
চলমান তাপপ্রবাহ রেকর্ড ভেঙেছে ৭৬ বছরের
X
Fresh