রপ্তানি আদেশ বাড়লেও কমেছে বিক্রি
২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ২৪৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। যা গেলো বছর ছিল ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সে অনুসারে, রপ্তানি আদেশ বেড়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা।
ইপিবি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এছাড়া মেলায় ১১৩ কোটি টাকার পণ্য কেনাবেচা হয়েছে। যা গেলো বছর ছিল ১২১ কোটি টাকা। সে মোতাবেক এবার বিক্রি কমেছে ৮ কোটি টাকা।
এবার বাণিজ্যমেলা চলে ৩৪ দিনব্যাপী। ব্যবসায়ীদের অনুরোধে মেলার সময়সীমা এবার ৪ দিন বাড়ানো হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে মেলাটি আয়োজন করে আসছে। তবে এবারই শেরেবাংলা নগরে মেলা শেষবারেরর মতো বসেছে। আসছে বার থেকে মেলা বসবে ঢাকার পূর্বাচলে।
এবার মেলায় ২১টি দেশ অংশ নেয়। গেলো মেলার চেয়ে এবারের মেলায় ৭টি স্টল বেশি ছিল। এবার সব ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, সাধারণ স্টল, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়নসহ ৫৬০টি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পণ্য নিয়ে মেলায় অংশ নেয়। যা ২০১৬ সালে ছিল ৫৩৬টি।
মেলায় স্টল বরাদ্দ পেতে মোট আবেদন পড়ে ১ হাজার ২৭টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে সাধারণ স্টলের জন্য। সাধারণ স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যান দেয়া হয় ২৫৩টি। কিন্তু এর বিপরীতে আবেদন পড়ে ৭১৭টি। অথচ গেলো বছর সাধারণ স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যান ছিল ২৮৭টি, আর চূড়ান্ত বরাদ্দ দেয়া হয় ২৮৬টি। ফুড স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যানে মোট স্টল রাখা হয় ২৪টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়ে ৭৫টি।
সাধারণত মেলায় ১৩টি ক্যাটাগরি থাকে। এর মধ্যে ছিল- সাধারণ প্যাভিলিয়ন, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, বিদেশি প্যাভিলিয়ন, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ, প্রিমিয়ার স্টল, বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল, সাধারণ স্টল ও ফুড স্টল প্রভৃতি।
সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৪ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি করা হয়। মেলায় পর্যাপ্ত আনসার, পুলিশ, মহিলা পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিয়োজিত ছিল। মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে ১শ’টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।
ইপিবি সূত্র জানায়, এবারের মেলায় প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।
এমসি/ডিএইচ
মন্তব্য করুন