রপ্তানিতে স্বর্ণ ও রৌপ্য ট্রফি পেলো বেঙ্গল প্লাস্টিক
রপ্তানিতে অবদানের জন্য স্বর্ণ ও রৌপ্য ট্রফি অর্জন করলো দেশের শীর্ষস্থানীয় প্লাস্টিক পণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল প্লাস্টিক।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে স্বর্ণ ট্রফি গ্রহণ করেন বেঙ্গল গ্রুপ চেয়ারম্যান আলহাজ মোরশেদ আলম এবং রৌপ্য ট্রফি গ্রহণ করেন ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জসিমউদ্দিন।
২০১৩-১৪ অর্থবছরের জন্য এ স্বীকৃতি লাভ করলো দেশের অন্যতম এ শিল্পগোষ্ঠী।
নির্ধারিত ৩২টি পণ্য ও সেবা ক্যাটেগরিরতে ২৯টি স্বর্ণ, রৌপ্য ২২টি এবং ১৫টি ব্রোঞ্জ ট্রফি দেয়া হয়।
রপ্তানিক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় বেঙ্গল প্লাস্টিককে এ ট্রফি দিলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এমসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন
স্বর্ণের দামে একের পর এক রেকর্ড
বিশ্ববাজারে একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি করছে স্বর্ণ। সবশেষ শুক্রবার (২৯ মার্চ) অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মূল্যবান এই ধাতু। প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার ২৩০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মার্চ মাসজুড়েই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ১৮০ দশমিক ৯২ ডলার। এখন সেটি বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩২ দশমিক ৩৮ ডলার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার। অন্যদিকে মার্চ মাসের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ৪৩ দশমিক ৬৩ ডলার। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা নয় দশমিক ২৬ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হলেও এখনো দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে আগামী কয়েকদিন স্থানীয় বাজারের চিত্র পর্যবেক্ষণ করবে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)।
এ বিষয়ে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের যে রেকর্ডটা আমরা দেখেছি, তাতে চলতি বছরে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। আমরা বিশ্ববাজার এবং স্থানীয় বাজারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিই। বিশ্বাবাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। আমাদেরও তালমিলিয়ে চলতে হবে। আমরা বেশি দামে কিনলে, বেশি দামে বিক্রি করব। এর কোনো বিকল্প নেই।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সবশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ, যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে। সেদিন ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ আট হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে স্বর্ণের এত দাম আগে কখনো হয়নি। দেশে বর্তমানে এই দামেই স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
দেশের বাজারে যখন স্বর্ণের এই দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। এখন সেটি বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩২ দশমিক ৩৮ ডলার। অর্থাৎ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর পর এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৮০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে।
ঈদের আগে ছুটির মধ্যেও ৩ দিন খোলা থাকবে ব্যাংক
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঈদের আগে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির মধ্যেও ৩ দিন সীমিত পরিসরে তফসিলি ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। আগামী ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল শিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার এসব শাখা খোলা থাকবে।
রোববার (৩১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রফতানি বিল বিক্রয় ও শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাসসহ অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ৫, ৬ এবং ৭ এপ্রিল সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এতে আরও বলা হয়, ৫ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত। তবে মাঝে জুম্মার নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। আর ৬ ও ৭ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। তবে মাঝে জোহরের নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
আইএমএফের হিসাবে দেশের রিজার্ভ কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় দেশের রিজার্ভ ২০ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেবে তা ২৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার।
রোববার (৩১ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে বিগত ৪ দিনে গ্রস রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।
অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।
স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
বিশ্ববাজারে একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি করছে স্বর্ণ। সবশেষ মাসের প্রথম দিন সোমবার (১ এপ্রিল) অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২৫০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মার্চ মাসজুড়েই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ১৮০ দশমিক ৯২ ডলার। সপ্তাহ শেষে দাম বেড়ে দাঁড়ায় দুই হাজার ২৩২ দশমিক ৩৮ ডলার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার। অন্যদিকে মার্চ মাসের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ৪৩ দশমিক ৬৩ ডলার। মার্চে প্রতি স্বর্ণের দাম ২০০ ডলারের বেশি বেড়েছে।
এদিকে সোমবার বিশ্ববাজারে রেকর্ড দামে উঠা স্বর্ণের লেনদেন শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে ২ হাজার ২৫০ ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৫৯ দশমিক ২৪ ডলারে।
শুধু বিশ্ববাজারে নয় বাংলাদেশের বাজারেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সবশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ, যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে। সেদিন ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ আট হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে স্বর্ণের এত দাম আগে কখনো হয়নি। দেশের বাজারে যখন স্বর্ণের এই দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। এখন সেটি আরও ১০০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে। তাই দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হতে পারে। দেশে স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)।
এ বিষয়ে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের যে রেকর্ডটা আমরা দেখেছি, তাতে চলতি বছরে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। আমরা বিশ্ববাজার এবং স্থানীয় বাজারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিই। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। আমাদেরও তালমিলিয়ে চলতে হবে। আমরা বেশি দামে কিনলে, বেশি দামে বিক্রি করব। এর কোনো বিকল্প নেই।
এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা বুধবার
এপ্রিল মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়ছে না কমছে, তা জানা যাবে আগামী বুধবার (৩ এপ্রিল)। এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে এদিন।
সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত এপ্রিল মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী চলতি মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা বুধবার দুপুর ২টায় ঘোষণা করা হবে।
সবশেষ গত ৩ মার্চ টানা অষ্টম মাসের মতো ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির দাম বাড়ানো হয়। গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বাড়ানো হয় ৪১ টাকা। আর গত ২ জানুয়ারি ২৯ টাকা বাড়িয়ে এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৩৩ টাকা ।
সদ্য বিদায়ী মার্চে অটোগ্যাসের দামও বাড়ানো হয়। ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৮ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
এলপিজির দাম কমলো
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। একইসঙ্গে অটোগ্যাসের দাম কমিয়ে প্রতি লিটার ৬৬ দশমিক ২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে নতুন এ দাম ঘোষণা করেন বিইআরসি’র চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে।
নতুন দাম ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, ড. মো. হেলাল উদ্দিন।
এর আগে, গত ৩ মার্চ টানা ৮ম মাসের মতো ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ানো হয় এলপিজির দাম। ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত ৪ ফেব্রুয়ারি ১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। গত ২ জানুয়ারি ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। একইসঙ্গে অটোগ্যাসের দামও বাড়ায় বিইআরসি। মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৮ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। আর গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে যা মূসকসহ নির্ধারণ করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা ও ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা।
স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
বিশ্ববাজারে বেড়েই চলেছে স্বর্ণের দাম। ভেঙে যাচ্ছে একের পর এক রেকর্ড। এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে আরেক ধাপ বাড়লো এই দাম। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আউন্স প্রতি স্বর্ণের দাম ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৩০০ ডলার।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) স্পট মার্কেটে ২ হাজার ৩২৭ দশমিক ৬০ ডলারে উঠেছে এক আউন্স স্বর্ণের দাম। এর আগে গত ৪ এপ্রিল লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২ হাজার ২৯৪ দশমিক ৯৯ ডলারে উঠে যায়। পরে অবশ্য দাম স্থির হয়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৯২ দশমিক ৩১ ডলারে। অর্থাৎ, প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়েছে মাত্র একদিনের ব্যবধানে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে মার্চ মাসে প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ২০২২ সালের নভেম্বরের পর যা একক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধির রেকর্ড।
বিশ্ববাজারের প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। বর্তমানে সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকায়। যা গত ২২ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক কারণেও নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে মানুষ ঝুঁকছেন স্বর্ণের দিকে।