• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শ্লথগতির শঙ্কায় বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে পতন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৫ মার্চ ২০১৯, ১৮:২৯
ছবি: যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে এখন পতন দেখা দিচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান শ্লথগতির আশঙ্কার কারণেই এটি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিবিসি জানায়, শুক্রবার লেনদেন ২ শতাংশ দরপতনে শেষ হওয়ায় এফটিএসই ১০০ সূচক ছিল চলতি বছরের একেবারে সর্বনিম্ন। যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রধান সূচকের মানও ছিল যথাক্রমে ১ দশমিক ৯০ ও ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

পাঁচ বছরের মধ্যে ইউরোজোনে উৎপাদন বৃদ্ধি সবচেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে মার্চে এমন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর এই পতনের বিষয়টি সামনে এলো।

এই সপ্তাহের শুরুতে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বাড়ানো নিয়ে সতর্ক অবস্থানে থাকায় বিনিয়োগকারীরা একটু আতঙ্কে ছিল।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ধীরগতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে বছর শেষে এই সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়টি তারা আশা করেনি।

তিন মাসের মধ্যে ডো জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ ১.৮ শতাংশ, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ইনডেক্স ১.৯ শতাংশ এবং নাসডাকে ২.৫ শতাংশ পতন ঘটেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকাউন্টিং কোম্পানি গ্র্যান্ট থর্নটনের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডিয়ানে সোনক বলেন, ব্রেক্সিটের বিষয়ে অব্যাহত অনিশ্চয়তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীরা ভয় পাওয়ায় গত মাসে ইউরোপের পাওয়ারহাউজ হিসেবে পরিচিত জার্মানির উৎপাদন সঙ্কুচিত হতে দেখা গেছে।

তিনি বলেন, পতনের ঝুঁকি আছে এমন একটি তথ্য সবার মধ্যে আশঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে। সবকিছু শেষপর্যন্ত বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মানুষ অর্থনৈতিক বাজারগুলোকে যেমনটি মনে করে, তার সঙ্গে বাস্তবতার সামান্য পার্থক্য আছে। ভালো ও মন্দ খবর উভয়টিতেই তারা অতিমাত্রার প্রতিক্রিয়া দেখায়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণপত্রের বাজারগুলোর একটি অস্বাভাবিক বিষয়ও বিনিয়োগকারীদেরকে ভীত করেছে।

বিবিসির নিউ ইয়র্ক বিজনেস করেসপন্ডেন্ট মিশেলে ফ্লেউরি বলেন, সাধারণত বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থ ফিরে পাওয়ার জন্য দীর্ঘসময়ের অপেক্ষা করার তুলনায় ক্ষতিপূরণ পেতে বেশি আগ্রহ দেখায়। কারণ তিন মাসের ঋণপত্রের চেয়ে ১০ বছরের ঋণপত্রে বেশি বিনিয়োগ করতে হয়।

তিনি বলেন, এখন আসল সমস্যা হলো বিনিয়োগকারীরা লাভের জন্য দীর্ঘসময়ের অপেক্ষার চেয়ে কম বিনিয়োগ করতে বেশি আগ্রহী। এতে মনে হচ্ছে তারা যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনীতির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ঋণপত্রের বাজারগুলো ১৯৫৫ সালের পরের পাঁচটি মন্দার মতো আরেকটির পূর্বাভাস দিচ্ছে।

কিন্তু এমনটি মনে করছেন না ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইনভেসকোর প্রধান বৈশ্বিক বাজার বিশ্লেষক ক্রিস্টিনা হুপার।

তিনি বলেন, বিশ্বের সবাই এটা নিয়ে ভাবছে। এটা খুব বেশি উদ্বেগজনক বলে মনে করি না আমি।

আরও পড়ুন

কে/এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh