স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর ১২ জন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন(পিকেএসএফ) এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হচ্ছে।
রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে। তাদের তাদের মধ্যে চারজন মরণোত্তর এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
কাজী খলীকুজ্জমান ছাড়া এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে: শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ এটিএম জাফর আলম (মরণোত্তর) , আ ক ম মোজাম্মেল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ডাক্তার কাজী মিসবাহুন নাহার, আব্দুল খালেক (মরণোত্তর), অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ (মরণোত্তর), চিকিৎসাবিদ্যায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাক্তার নূরুন্নাহার ফাতেমা বেগম, সংস্কৃতিতে মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অধ্যাপক হাসিনা খান।
এই ১২ জনের সঙ্গে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিকে কাজী খলীকুজ্জমানকে স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান পিকেএসএফ।
পিকেএসএফ- এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে সমাজসেবা/জনসেবা ক্ষেত্রে গৌরবজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পেলেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
আগামী ২৫ মার্চ, ২০১৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পদক প্রদান করবেন।
প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ, মানবকেন্দ্রিক উন্নয়ন চিন্তক সকলের জন্য মানবমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ব্রত মহান এই ব্যক্তিত্বের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মামনা অর্জনে পিকেএসএফ পরিবার গর্বিত।
খলীকুজ্জমান একাধারে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও সমাজচিন্তাবিদ। তিনি ১৯৪৩ সালে সিলেটের সম্ভ্রান্ত কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
এ বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ-এর চেয়ারম্যান। তিনি অর্থনীতিবিদদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং মুজিবনগর সরকারের অধীনে পরিকল্পনা সেলে কর্মরত ছিলেন।
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন গবেষণাকর্ম পরিচালনা করেছেন।
এস
মন্তব্য করুন