• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

আগামীকাল বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১১:২০

আগামীকাল বুধবার (২৪ অক্টোবর) ‘শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’-এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই বার্ন ইনস্টিটিউটে থাকছে চিকিৎসা, সেবা, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও গবেষণার সব সুযোগ। দেশে প্রথমবারের মতো কোনও সরকারি হাসপাতালে থাকছে হেলিপ্যাড সুবিধা।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে এই ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্প মেয়াদ অনুযায়ী, এই বছরের ডিসেম্বর মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায়, দুই মাস আগেই উদ্বোধন করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ এই ইনস্টিটিউটে থাকছে ১০০টি কেবিন। হাইডেফিসিয়েন্সি ইউনিটে থাকছে ৬০টি বেড, ১২টি অস্ত্রোপচার কক্ষ এবং অত্যাধুনিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির অত্যাধুনিক চিকিৎসা এখানে দেওয়া হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরান ভবনের সঙ্গে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে সংযোগ স্থাপন করা হবে নতুন এই ভবনের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বার্ন ইনস্টিটিউট। এই বিষয়ে এত বড় বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট পৃথিবীর আর কোথাও নেই। কারণ বাংলাদেশে যত মানুষ দগ্ধ হয়, বিশ্বে আর কোনও দেশে এত মানুষ দগ্ধ হয় না।

এই বার্ন ইনস্টিটিউট ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। একই বছর ২৯ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চানখাঁরপুলে ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২৭ এপ্রিল বাংলদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর নির্মাণ কাজ শুরু করে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. সামন্ত লাল সেন, ‘আমি সবসময় বলি, ৫ থেকে ৫০০। ৫ বেড দিয়ে শুরু করে ৫০, ১০০, ৩০০ পেরিয়ে এখন আমরা ৫০০ বেডে যাচ্ছি ২৪ অক্টোবর। এটা একটা গল্প।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের শুরুর দিকে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন ড. রোনাল্ড জোসেফ কাস্ট আসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। তখন একজন প্লাস্টিক সার্জন জরুরি বলে সেখানে লুধিয়ানা থেকে আসেন পারভেজ বেজলিন। এটাই ছিল বাংলাদেশে প্লাস্টিক সার্জারির প্রথম কনসেপ্ট। তখন আমি তরুণ চিকিৎসক। চোখ ভরা স্বপ্ন— খ্যাত প্লাস্টিক সার্জন হবো, অনেক টাকা হবে, দামি গাড়ি-বাড়ি হবে। কিন্তু চিকিৎসা করতে এসে, রোগীদের সংস্পর্শে এসে বদলে গেল আমার সেই অনেক টাকা আর বাড়ি-গাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মেধা-দক্ষতা সবই আছে, প্রয়োজন শুধু সুযোগের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। তার কাছে আমরা ঋণী।’

আরও পড়ুন :

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh