• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বছরজুড়ে ব্যাংক খাতে অস্থিরতা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:২৪

শুরুটা ইসলামী ব্যাংক দিয়েই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় পরিবর্তন আনা হয়। তারপর আর থামেনি। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংকের মালিকানা নিয়ে অস্থিরতা লেগেই ছিল। আলোচনায় বাদ যায়নি ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধন, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ আর বেসিক ব্যাংকের কেলেঙ্কারি। জানা গেছে, নানা ধরনের দুর্নীতি আর ঋণ অনিয়মের কারণে খারাপ অবস্থায় আছে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ব্যাংকগুলোও।

রদবদলে শুরু ইসলামী ব্যাংক

চলতি বছরের শুরুতেই বড় ধরনের পরিবর্তন আনে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ৫ জানুয়ারি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পরিবর্তন আনা হয়। ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুস্তাফা আনোয়ারকে সরিয়ে পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভাতেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আরাস্তু খান। ভাইস-চেয়ারম্যান আজিজুল হক পদত্যাগ করেন। এছাড়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে সরিয়ে নতুন এমডি হিসেবে ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি আবদুল হামিদ মিঞার নাম অনুমোদন করা হয়।

এর মাধ্যমে ব্যাংকটির মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসে। ব্যাংকটির মালিকানা থেকে সরে যায় বিদেশিরাও।

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংকের সংকট পরিস্থিতি কয়েকমাস ধরে আলোচনায় থাকার পর অক্টোবরে এসে বড় পরিবর্তন আনে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক। হঠাৎ করেই ব্যাংকটির চেয়ারম্যান, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদত্যাগ করেন। ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফ।

নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পান ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত এমডি কাজী ওসমান আলী। এছাড়া নির্বাহী কমিটির নতুন চেয়ারম্যান হন বেলাল আহমেদ।

এতে করে ব্যাংকটির মালিকানায় পরিবর্তন আসে। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে এসে আবারো ব্যাংকটি থেকে সাত পরিচালক পদত্যাগ করেন। যাদের মধ্য ছিল চারজন স্বতন্ত্র ও তিনজন শেয়ারধারী পরিচালক।

গ্রাহকের আস্থায় আঘাত ফারমার্স ব্যাংকের

২০১২ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পায় ৯ ব্যাংক। এর মধ্যে একটি ফারমার্স ব্যাংক। কিন্তু বছরের শেষে এসে ব্যাংক ব্যবসার অন্যতম ইস্যু গ্রাহকের আস্থায় আঘাত হেনেছে এই ব্যাংক।

জানা গেছে, ব্যাংকটি অনিয়ম করে ঋণ দিয়ে এখন তারল্য সংকটে ভুগছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঋণ বিতরণের দায়ে সম্প্রতি ব্যাংকটির এমডিকে অপসারণ করা হয়। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অব্যাহত চাপের মুখে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর পদত্যাগ করেন।

এ খবর প্রকাশের পর ব্যাংকটি থেকে টাকা তুলে নেয়ার জন্য ছুটছেন আমানতকারীরা।

এনআরবিসি ব্যাংক

আমানতকারীদের স্বার্থে ও জনস্বার্থে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক চালাতে ব্যর্থ হওয়ায় গেলো ১০ ডিসেম্বর পরিবর্তন আসে ব্যাংকটিতে। প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ফরাছত আলীকে সরিয়ে দায়িত্বে আসেন তমাল এস এম পারভেজ। এ ছাড়া ভাইস-চেয়ারম্যান, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান, নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যানকেও সরানো হয়। ছুটিতে পাঠানো হয় এমডি দেওয়ান মুজিবুর রহমানকে।

পুরনো বিষফোঁড়া বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি

২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণের অভিযোগ ওঠার পর তদন্তে নামে দুদক।

বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কয়েক দফা পর্যবেক্ষণ আসার পর সম্প্রতি ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেয় দুদক। বাচ্চুর আগে ব্যাংকের সাবেক ১০ পরিচালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এসআর/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে প্রতারণায় দুই আসামি গ্রেপ্তার
জাল দলিলে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের ১০ সদস্য গ্রেপ্তার
এপ্রিলে প্রবাসী আয় প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা
টাঙ্গাইলে আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধন
X
Fresh