• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo

বাজারে গোপালভোগ-রানিপছন্দ, ফলন কম হওয়ায় দাম চড়া

আরটিভি নিউজ

  ২৫ মে ২০২৪, ১৮:১৩
ছবি: সংগৃহীত

কৃষি বিভাগের ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী, সব ধরনের গুটিজাতীয় আম ১৫ মে থেকে পাড়া হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) থেকে গোপালভোগ, রানিপছন্দ ও লক্ষ্মণভোগ আম পাড়া ও বাজারজাত করা শুরু হবে। তবে ফলন কম হওয়ায় দাম চড়া।

জানা গেছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার মুকুল এসেছিল অনেক দেরিতে। তীব্র তাপপ্রবাহে আমের মুকুল বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে গাছে আমের সংখ্যা কম।

এর আগে জেলা প্রশাসন থেকে আম বাজারজাতের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়। সে সময়ের আগে আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আম পরিবহন বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহবিষয়ক মতবিনিময়সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, রাজশাহী আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। বাজারে যেন অপরিপক্ব এবং ভেজাল মিশ্রিত কোনো আম বিক্রি করতে না পারে, সে জন্যই কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে এ ফল পাড়া, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, স্থানীয় গুটি জাতের আঁটির আম ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এ ছাড়া ২৫ মে থেকে গোপালভোগ, রানিপছন্দ ও লক্ষণভোগ, ক্ষিরসাপাত/হিমসাগর ৩০ মে, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন, ফজলি ১৫ জুন, আশ্বিনা ১০ জুলাই, বারি-৪ জাতের আম ৫ জুলাই, গৌড়মতি জাতের আম ১৫ জুলাই, ইলামতি ২০ আগস্ট থেকে পাড়া ও বাজারজাতকরণ করতে পারবেন আমচাষি, বাগান মালিক, আড়ত মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে।

গত ১৫ মে থেকে বাজারে আনা হয় গুঁটি আম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহীর বানেশ্বর এলাকার আম ব্যবসায়ী রাজিব বিশ্বাস বলেন, এ বছর ফলন কম হওয়ায় আমের দাম বেশ চড়া। গত বছর আমরা গোপালভোগ ৮০০-১২০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি। এ বছর তা ২২০০-২৮০০ টাকা মণ চলছে। এ বছর বাগানে গড়ে ১০০ গাছের মধ্যে প্রায় ৭০টি গাছে আম নেই বললেই চলে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ বছর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর এই চার জেলায় ৯৩ হাজার ২৬৬ হেক্টর জমিতে আম বাগান আছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন। গত বছর এ অঞ্চলে আম উৎপাদন হয়েছিল ১২ লাখ ৭ হাজার ২৬৩ টন। এবার উৎপাদনে ভাটা পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কৃষি বিভাগের হিসাবে চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করা যচ্ছে।

আম উৎপাদনকারী আরেক জেলা নওগাঁয় এবার বাগান রয়েছে ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এখানে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

আর রাজশাহীর ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমির আম বাগান থেকে এবার ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আশা করছেন।

রাজশাহীর বেশির ভাগ আম হয় বাঘা ও চারঘাটে। বাঘার এক আম চাষী বলেন, এ বছর প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে আমের চাষ করছেন তিনি। গত বছর প্রায় এক কোটি টাকা আম বিক্রি করেছিলেন। এর মধ্যে ২৬ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানিও করেছিলেন। তবে এবার গাছে গুঁটি কম থাকায় হতাশ হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, “গত বছর তার বাগানে পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। সেই হিসাবে এ বছর খুব কম আম হয়েছে।”

রাজশাহীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ভারপ্রাপ্ত) উপপরিচালক মোছা. উম্মে ছালমা বলেন, চলতি মৌসুমে রাজশাহীর আম বাজারজাতকরণ ১৫ থেকে শুরু হয়েছে। শনিবার গোপালভোগ নামানো শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জাতের আম পাড়া হবে। আশা করবো, ম্যাংগো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে পরিপক্ক আম কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বাজারজাত করবেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নজর কাড়ছে উচ্চশিক্ষিত নারীর ১৪ গরু
৭ দিন পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল শুরু
সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে ফিরছেন দুই শতাধিক মানুষ
টিকিট কালোবাজারি এ বছরের পর আর থাকবে না: র‍্যাব