• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo

ঈদের আগে আরও বেড়েছে মাংসের দাম

আরটিভি নিউজ

  ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৫
ফাইল ছবি

ঈদুল ফিতরের আগে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে মাংসের বাজার। গরুর মাংস, খাসির মাংস, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে, বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। কেজিপ্রতি গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা। খাসির মাংস কোথাও কোথাও কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ, মিরপুর, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম পড়ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা; দেড় সপ্তাহ আগে যা ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম এক সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি আরও ২০ টাকার মতো বেড়েছে; এখন যা কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, করপোরেট গ্রুপগুলোর কৃত্রিম সংকটে মুরগির বাচ্চা কিনতে না পেরে উৎপাদন থেকে বাধ্য হয়ে সরে যাচ্ছে প্রান্তিক খামারিরা। এখন বেশির ভাগ মুরগি করপোরেট গ্রুপগুলোর, বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারাই। ফলে বাজারে মুরগির দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, একটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করতে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা। অথচ প্রান্তিক খামারিদের সেই বাচ্চা কিনতে হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির ফিড উৎপাদন করতে খরচ হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কিন্তু প্রান্তিক খামারিদের সেই ফিড কিনতে হয় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। আর এক কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতে খরচ হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একজন মুরগি বিক্রেতা বলেন, ঈদ উপলক্ষে খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে এখন মুরগির সরবরাহও কম। তাই নতুন করে মুরগির দাম বেড়ে গেছে।

মালিবাগ বাজারে ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসজুড়ে মাছ ও মাংস বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে। ঈদের আগে মাংসের দাম আবার বাড়ল। বাজার করতে গেলে তাল পাওয়া যায় না।

গরুর মাংসের দাম আরও সপ্তাহখানেক আগেই কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় উঠেছিল। নতুন করে ব্যবসায়ীরা দাম না বাড়ালেও আগে কোথাও কোথাও ৫০ টাকা কমেও মাংস পাওয়া যাচ্ছিল, কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। শুধু কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা ২০ টাকা কমে ৭৮০ টাকায় মাংস বিক্রি করছেন। বাজারে খাসির মাংসের দামও বাড়তি। ভালো মানের মাংসের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা; মানে একটু ছাড় দিলে ১ হাজার ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী বাজারের মোল্লা গোস্ত বিতানের বিক্রেতা বলেন, কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের গরু জবাই দিয়ে ভালো মাংস বিক্রি করতে গেলে এর চেয়ে কম দামে বিক্রি সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঈদ উৎসবের সময় মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়; এই বাড়তি চাহিদা পুঁজি করে মাংসের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে বাজারে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মাংসের দাম বেড়েছে। ঈদ উপলক্ষে খামারিরা গরুর দাম বাড়িয়েছেন, তাতে মাংসের দাম বেশি পড়ছে। অনেকে বলছেন, বেচাকেনা বেশি পরিমাণে না হলে কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় মাংস বিক্রি করেও টিকে থাকা কষ্ট হবে।

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, বাজারে সব জিনিসের যে দাম, সেই হিসাব করলে গরুর মাংসের দাম ঠিক আছে। অনেক মাছের দামও এখন কেজিপ্রতি ৮০০ টাকার ওপরে। মাছ কাটলে আবার উচ্ছিষ্ট চলে যায়; কিন্তু এসব নিয়ে আলোচনা হয় না। গরুর মাংসের দাম একটু বাড়ালে তার প্রতিক্রিয়া বেশি হয়।

মন্তব্য করুন

  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলো বেরোবি
বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
সেই আবু সাঈদকে নিয়ে মুখ খুললেন সুবাহ