ইমাম বাটনকে জরিমানা
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় আমদানি করা কাঁচামাল বন্ডেড ওয়ারহাউজ থেকে অবৈধ স্থানান্তর করে শুল্ক আইন লঙ্ঘনের অপরাধে এ জরিমানা করা হয়।
আজ সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটিকে গত ৭ নভেম্বর এই অর্থদণ্ড দেয়া হয়। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী বন্ডেড পিরিয়ডের মধ্যে কাঁচামাল আমদানি না করে বন্ডে ওয়্যারহাউস সুবিধার আওতায় আমদানি করে কোম্পানিটি বন্ড আইন লঙ্ঘন করেছে।
৩০ জুন, ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৮ পয়সা। এ সময়ের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশও ঘোষণা করেনি।
এসব নেতিবাচক খবরে সাধারণত কোম্পানিটির শেয়ারে দরপতন হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তব চিত্রে তার উল্টোটা দেখা যাচ্ছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আজও কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ৩২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩৫ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে কোম্পানিটির দর উঠানামা করে।
অবশ্য, ক্লোজিং প্রাইস চিত্রে শেয়ারদর বৃদ্ধির এই গতি ২৩ অক্টোবর থেকে অব্যাহত। ওইদিন ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২০ টাকা ৬০ পয়সা।
ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড একটি শতভাগ রপ্তানিমুখী বাটন (বোতাম) শিল্প প্রতিষ্ঠান। যা চট্টগ্রামের ফৌজদার হাট ভারী শিল্প এলাকায় অবস্থিত।
নেতিবাচক খবরের মধ্যেও কেন ইমাম বাটনের শেয়ারের দর বাড়ছে জানতে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোম্পানিটির এক কর্মকর্তা আরটিভি অনলাইনকে জানান, শেয়ারের দর বাড়ার পেছনে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ নেই। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে। আমরাও সেটা তাদের চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি।
এসআর
মন্তব্য করুন