বন্ড দিয়ে ৯ ব্যাংক থেকে ২২৫৩ কোটি টাকা সংগ্রহ সরকারের
নয় ব্যাংক থেকে ২২ শত ৫৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করছে সরকার। এ জন্য তাদের দেওয়া হবে বন্ড। সারের ভর্তুকির টাকা দিতে না পেরে পাওনাদার কোম্পানিকে এ বিশেষ বন্ড দেওয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ বিভাগ, ব্যাংক ও পাওনাদার কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হয়।
গত বছরের শেষদিকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর মধ্যে দুই সরকারি-অগ্রণী ব্যাংককে ৪৪৭ কোটি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে ২৮২ কোটি দেবে। অপর দিকে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংককে ৪৭৩ কোটি, সিটি ব্যাংককে ৩৯৭ কোটি, ঢাকা ব্যাংককে ৩৯২ কোটি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংককে ৯০ কোটি, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংককে ৬৯ কোটি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংককে ৫৬ কোটি এবং এক্সিম ব্যাংককে ৪৭ কোটি টাকার বন্ড দেওয়া হবে।
গত ৪ জানুয়ারি বন্ড দেয়া শুরু করে সরকার। ওই দিন সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ২ হাজার ৫৫৭ কোটি এবং আইএফআইসি ব্যাংকের অনুকূলে ৪৫৯ কোটি টাকা দেয়া হয়। পরে ইসলামী ব্যাংককে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা এবং জনতা ব্যাংককে ১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকার বন্ড দেয়া হয়।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সার আমদানি করতে ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণপত্র খুলে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনসহ (বিএডিসি) কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ ঋণের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। ফলে দায় পরিশোধে বিশেষ বন্ড ছাড়া হচ্ছে।
সারের ভর্তুকির পাওনা শোধে ১ মাস ১০ দিনে ৯ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৩টি ব্যাংক তা পেয়েছে। ব্যাংক এশিয়ার অনুকূলে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার মধ্য দিয়ে সারের ভর্তুকি পরিশোধের কাজ শেষ করা হবে।
এর আগে নভেম্বরের শেষদিকে নিরবচ্ছিন্ন সার আমদানিতে সোনালী ব্যাংকের সহযোগিতা চায় বিসিআইসি। সে সময় শুধু ইউরিয়া সারের ভর্তুকি বাবদ ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাবে সরকারের কাছে।
মন্তব্য করুন