• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রপ্তানি খাত

আশা জাগিয়েও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির বৃত্তে আটকে যাওয়ার শঙ্কা 

আরটিভি নিউজ

  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৭
হঠাৎ করেই সরকারের প্রণোদনা কমানোর ঘোষণায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রপ্তানিকারকদের কপালে
ফাইল ছবি

বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনেও দেশের রপ্তানি খাতে সুবাতাস ছিল জানুয়ারিতে। হতাশার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে নতুন আশার আলো দেখতে পাচ্ছিলেন দেশের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু হঠাৎ করেই সরকারের প্রণোদনা কমানোর ঘোষণায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের কপালে। আশা জাগিয়েও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির বৃত্তে আটকে যাওয়ার শঙ্কা পেয়ে বসেছে রপ্তানিকারকদের।

চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জনে বাকি ৫ মাসে রপ্তানি করতে হবে রেকর্ড ৫৭৫ কোটি ডলার হারে। যাকে একরকম অসম্ভব বলছেন উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকরা। এ অবস্থায় তৈরি পোশাক, চামরাসহ বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা কমানোর আকস্মিক ঘোষণা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈশ্বিক টানাপোড়েন, অভ্যন্তরীণ সংকট আর হঠাৎ করেই প্রণোদনা কমানোর ঘোষণা-সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তার ঘেরাটোপে পড়ে গেছে দেশের রপ্তানি খাত।

তবে এমন অবস্থার মধ্যেও জানুয়ারিতে সেই ছাপ পড়েনি এই খাতে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে আয় এসেছে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি ডলার। যা বছর ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ। তবে বাকি ৫ মাসে এই খাতের লক্ষ্যমাত্রা কতটা অর্জিত হবে, তা নিয়ে সন্দিহান উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কাস্টমস জটিলতা এবং গ্যাস সংকট-এই দুটিই হচ্ছে আমাদের আমদানি-রপ্তানির জন্য প্রধান বাধা। ইতোমধ্যে পোশাক খাতে নগদ সহায়তা কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি। এতে আমাদের ওপর দুশ্চিন্তার চাপ বেড়েছে।

হঠাৎ করে আশা জাগিয়ে লম্বা সময় ধরে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির বৃত্তে আরেক সম্ভাবনার খাত হোমটেক্সটাইল। সবশেষ অর্থবছরে রপ্তানি আয় শত কোটি ডলার ছাড়ালেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রপ্তানি হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার এক-তৃতীয়াংশ।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত চামড়া ও চামড়াজাতপণ্যেও ঠেকানো যাচ্ছে না প্রবৃদ্ধির পতন। লেদার ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস সোসাইটির সভাপতি এ কে এম মুশফিকুর রহমান মাসুদ বলেন, ডলার সংকটের কারণে অনেক সময় আমরা আমদানি করতে পারি না। বাজারে কেমিক্যালসের দাম বেশি থাকে। ফলে চামড়ার খরচ বেড়ে যায়। ক্রেতার টার্গেট পূর্ণ করতে পারি না। ফলস্বরূপ ক্রয়াদেশ বাতিল করতে হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রপ্তানির লক্ষ্য ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার। যা অর্জনে বাকি ৫ মাসে আয় করতে হবে ৫৭৫ কোটি ডলার হারে। অথচ গেলো ৭ মাসের গড় রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ৪৭৫ কোটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ছাড়া অসম্ভব এই অর্জন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ডলারে সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে হবে। যাতে আমদানিকারকদের আমদানি ব্যাহত না হয়। একইসঙ্গে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। যাতে রপ্তানিকারকদের উৎপাদন ব্যাহত না হয় এবং নিয়মিত রপ্তানি করতে পারেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি সিনেমার মস্কো জয় 
থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর 
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ দেখা যাবে যেভাবে
X
Fresh