• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

চালসহ বেড়েছে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম  

আরটিভি নিউজ

  ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৭
ফাইল ছবি

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চালসহ বেশ কিছু ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ভরা মৌসুমে আরও চড়া হয়েছে সবজির দাম। বেড়েছে গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগি, আটা, ময়দা, ডাল, ছোলা, আদা ও রসুনসহ আরও বেশ কিছু পণ্যমূল্য।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারগুলোতে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজির দাম বেড়ে বর্তমানে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও এটা কিছুদিন ধরে ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ছিল। অন্যদিকে সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কক মুরগি (লালা) প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ টাকা কক সাদা প্রতি কেজি ২৮০ টাকা আর পাতি হাঁস আকার ভেদে প্রতি পিচ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া গত কিছু দিন গরুর মাংসের দাম বিভিন্ন এলাকায় কমে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করলেও লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে ফের প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছে বিক্রেতারা। পাশাপাশি খাসির মাংস প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এখন সরু (মিনিকেট) চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে। যা ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা ছিল। মাঝারি (বিআর-২৮, পায়জাম) চালের কেজিতে সর্বোচ্চ তিন টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। দুই টাকা বেড়ে মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা।

চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে এক ব্যবসায়ী বলেন, ভোটের কারণে গাড়ি এসেছে কম। তাই সরবরাহ ঘাটতির কারণে চালের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মানভেদে প্রতি বস্তা চালের দামে দেড় শ’ থেকে আড়াই শ’ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন সব ধরনের সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। কাঁচা পেঁপে ও মুলা ছাড়া ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি বাজারে নেই। ভরা মৌসুমে শিম প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকার নিচে মিলছে না। এক পিস লাউয়ের দাম ঠেকেছে ১০০ টাকায়। বাজারে বছরজুড়ে পাওয়া যায় এমন গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা ও বরবটির কেজিও ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে। পাঙাশ, চাষের কই, তেলাপিয়া মাছের দাম বাড়তি বাজার চললেও অন্য সব ধরনের মাছের দাম আরও বেশি বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০০ টাকায়, শিং মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫৫০ টাকায়, রুই মাছে প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, পাঙাশ প্রতি কেজি ২২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, শোল মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আর মাঝারি সাইজের শোল বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিতে। গুলসা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা গলদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, টেঙরা মাছ ছোট প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং রূপচাঁদা প্রতি কেজি আকার ভেদে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের এমন বাড়তি চিত্র দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন ক্রেতা বলেন, বাজার করতে ১০০০ টাকা নিয়ে এলে কিছুই হয় না। মাছের যে দাম তাতে মাছ কিনতে পারি না, গরু, খাসির মাংস তো কেনার প্রশ্নই আসে না। এক ব্রয়লার মুরগি কেনা যায় তা-ও আজ দাম বেড়েছে। সবকিছুর দাম এত বেশি যে—আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কেনা কঠিন হয়ে গেছে।

আগে ছোলার কেজি ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে এখন তা বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। এ ছাড়া দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে। বেড়েছে মসুর ডালের দামও। প্রতি কেজি ভালো মানের মসুর ডাল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগের থেকে ১০ টাকা বেশি।

বাজারে আটা, ময়দা, পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বেড়েছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা বলছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত আটা ও ময়দার দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে।

এখন বাজারে প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এই দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দেশে চালের উৎপাদন চার গুণের বেশি বেড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ব্যাটারিচালিত যানবাহন তৈরির পরামর্শ 
ইজিবাইকচালককে হত্যা, ৫ জনের ফাঁসির আদেশ
যাত্রীর ছুরিকাঘাতে ইজিবাইকচালক নিহত
X
Fresh