• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রিজার্ভ চুরি: বাকি অর্থ ফেরতের প্রক্রিয়া অব্যাহত

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:২৯

বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়ার রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে মধ্যে ১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ফেরত এসেছে। এছাড়া আরও ৩ কোটি ডলার আদালতের আদেশে জব্দ রয়েছে। এসব অর্থ উদ্ধারের পর অনাদায়ী বাকি অর্থ আদায়ে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থা— বিশ্বব্যাংক, এপিজি, এগমন্ট গ্রুপ ও ইন্টারপোল। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াতেই এই চারটি সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সুইফটের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সভার সূত্রে একটি ত্রিপক্ষীয় স্টেটমেন্ট জারি করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরি হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধার করা এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার অঙ্গীকার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, চীন, শ্রীলঙ্কাসহ বাংলাদেশে সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের জড়িত থাকার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে রয়েছে। এক্ষেত্রে আন্তঃদেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ও বাংলাদেশে তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলেই কেবল অপরাধীদের শনাক্ত করাসহ সব তথ্য যথাসময়ে প্রকাশযোগ্য হবে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে, ফিলিপাইনের আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সাত জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে ফিলিপাইনের বিচার বিভাগ। বিভিন্ন পক্ষের তদন্ত ও ১৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার ফেরত দেওয়ার জন্য ফিলিপাইনের আদালত আদেশ দিয়েছে। এর ফলে সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারের বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, গত ৩ আগস্ট মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চীনের পুলিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িত মূল দুই জন সন্দেহভাজন ডিং হিজি ও গাও সুহুএকে গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ।

আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ চুরির বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ চক্রের অপরাধ হিসেবে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন পক্ষের তদন্তে উঠে এসেছে এবং এ অপরাধের সঙ্গে তাদের অপরাধ প্রমাণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে পাচার হওয়া ৮১ মিলিয়ন ইউএস ডলারের মধ্যে ৪ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৪৮৮ দশমিক ২৮ মিলিয়ন ফিলিপিনো পেসো (মোট ১৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার) ফিলিপাইন আদালতের আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংককে গত বছরের ১০ নভেম্বর ফেরত দিয়েছে। এর আগে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) বাংলাদেশ ব্যাংককে শূন্য দশমিক শূন্য ৭ মিলিয়ন ডলার ফেরত দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের অবশিষ্ট ৬৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার আইনি প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট আদালতের আদেশের মাধ্যমে উদ্ধারের পর যে পরিমাণ অর্থ অনাদায়ী থাকবে, তা আরসিবিসি ব্যাংকের কাছ থেকে আদায় করতে আইনি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh