ভবন ভাঙতে আরো সময় পেল বিজিএমইএ
রাজধানীর হাতিরঝিলে অবৈধভাবে গড়ে তোলা পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আরো সময় পেয়েছে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।
আগামী বছরের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত।
বিজিএমই কর্তৃপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারকের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
ভবন ভাঙার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর গত ১২ মার্চ বিজিএমইএ’র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ছয় মাস সময় দেন যা গত ১২ সেপ্টেম্বর শেষ হয়।
তবে সময় শেষ হওয়ার আগেই গত ২৩ আগস্ট বিজিএমইএ কার্যালয় স্থানান্তরের জন্য সংগঠনটির পক্ষ থেকে পুনরায় এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়েই রোববার রায় দিলেন আপিল বিভাগ।
মূলত সংগঠনের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার আগ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সময় চায় সংগঠনটি। শুনানিতে বিজিএমইএ’র আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞা বলেন, ‘এটাই শেষ সুযোগ। এরপর আর সময় চাইবেন না। এর মধ্যে যা করার করবেন।’
আদালতে বিজিএমইএ-এর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। অন্যদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ মামলায় হাই কোর্টে অ্যামিকাস কিউরির দায়িত্ব পালন করা মনজিল মোরসেদও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন ছাড়া বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ বিষয় নিয়ে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের দৃষ্টিতে আনেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
২০১০ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবনকে 'একটি ক্যান্সার' বলে আখ্যায়িত করেন। পাশাপাশি ৯০ দিনের মধ্যে ওই ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। এর পর বিজিএমইএ’র করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আপিল বিভাগও ছয় মাসের মধ্যে ওই ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন।
সি
মন্তব্য করুন