পণ্য ক্রয়ে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার দিচ্ছে ওয়ালটন

পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের ঘোষণা দিয়েছে ওয়ালটন। এই রেজিস্ট্রেশনের ফলে ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে আরো দ্রুত ও উত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে যাবে। ২ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ওয়ালটনের এই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এর আওতায় প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার দেওয়া হবে। তিন মাসে ক্রেতারা পাবেন ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার।

গতকাল সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ উপলক্ষে ‘ডিক্লারেশন প্রোগ্রাম’-এর আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম। তিনি জানান, ১০ হাজার টাকা বা তার চেয়ে বেশি মূল্যের পণ্য কিনলেই শুধু ওই ক্রেতা এই অফারের জন্য বিবেচিত হবেন। একজন ক্রেতা প্রতিবার রেজিস্ট্রেশন করে স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে ২০০ টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার পাবেন। ওই ক্যাশ ভাউচারে পণ্য কিনে আবারও নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার পাবেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ইভা রিজওয়ানা (বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক), এমদাদুল হক সরকার (বিপণন), মো. হুমায়ুন কবীর (পিআর অ্যান্ড মিডিয়া), অপারেটিভ ডিরেক্টর আরিফুল আম্বিয়াসহ ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

লিখিত বক্তব্যে উদয় হাকিম বলেন, পণ্য কেনার পর তা রেজিস্ট্রেশন করতে ক্রেতাদের মধ্যে এক ধরনের অনীহা কাজ করে। আর তাই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে ক্রেতার অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে এই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন এবং ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ওয়ালটনের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বাড়বে; বিক্রয়োত্তর সেবা অনলাইনের আওতায় আসবে। ক্রেতারা আরো দ্রুত উত্তম সেবা পাবেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার সময়ই রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। গ্রাহকের নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেলসহ বিস্তারিত সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এ জন্য একটি ওয়েব পেইজ (http://support.waltonbd.com) ডেভেলপ করেছে ওয়ালটন। এর ফলে গ্রাহক অনলাইনে বিক্রয়োত্তর সেবা চাইতে পারবেন। অনলাইনে জানতে পারবেন পণ্যটি কোন পর্যায়ে আছে, কখন ডেলিভারি দেওয়া হবে ইত্যাদি।

উদয় হাকিম আরো জানান, রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার মোবাইল নম্বরে ক্যাশ ভাউচারের পরিমাণ সম্পর্কিত একটি এসএমএস বা মেসেজ যাবে। সংশ্লিষ্ট ক্রেতা প্রাপ্ত ক্যাশ ভাউচারের সমমূল্যের ওয়ালটন পণ্য কিনতে পারবেন। বেশি মূল্যের পণ্য কিনলে ক্যাশ ভাউচারের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারবেন।

বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা বলেন, দেশের ডিজিটাল সেবা খাতকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতেই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন এবং তিন মাসব্যাপী নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের উদ্যোগ।

ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার বলেন, ‘অনেকেই পণ্য কেনার পর গ্যারান্টি কার্ড হারিয়ে ফেলেন। এতে করে সার্ভিসের ক্ষেত্রে ওই ক্রেতা বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন। এই সমস্যার সমাধানে ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার সঙ্গে সঙ্গেই নিবন্ধন করতে হবে। এতে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো প্রান্তে ওয়ালটনের সার্ভিস সেন্টার থেকে সার্ভিস পাওয়া যাবে।’

পিআর অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর আশা প্রকাশ করেন, ওয়ালটনের এই উদ্যোগে গ্রাহকদের বাড়তি কিছু দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।

এসজে