ভারতীয় গরু নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা (ভিডিও)
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাজধানীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়া ওঠা খামার মালিকরা। এবারের ঈদে দেশীয় গরুর পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তান থেকে আনা গরুও পরিচর্যা করছেন তারা। তবে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিবেশী দেশ থেকে চোরায় পথে আসা গরু। ভারতীয় গরুই এখন খামারিদের শঙ্কার কারণ।
রাজধানীর আঁটি বাজারের ‘সাফায়াত ডেইরি ফার্ম’। দুধেল গরুর পাশাপাশি প্রতি বছর কোরবানির জন্য এখানে ষাঁড়ও পালন করা হয়। শংকর জাতের বাচ্চা কিনে এনে সুষম খাবার ও যত্ন দিয়ে গরুগুলোকে কোরবানির উপযোগী করা হয়।
বেড়িবাঁধের আরেক অ্যাগ্রো খামার ‘মেঘডুবি’। কোরবানির হাটের জন্য এখানে গেলো এক বছর ধরে ক্রস ব্রিড করে ষাঁড় বড় করা হয়েছে।
পানিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী দেশজুড়ে সারা বছর গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়া জবাই হয় দু’ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজারের মতো। যার প্রায় ৫০ ভাগই হয় কোরবানির ঈদে।
গেলো ঈদুল আযহায়ও সারা দেশে পশু কোরবানি হয়েছে এক কোটি পাঁচ লাখ। সেখানে এবার দেশে পশু মজুদ আছে এক কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার।
তবে এবার গরু দরকার হবে ১৫ লাখের মতো, যা দেশেই মজুদ আছে। এ অবস্থায় ভারত থেকে গরু আসলে লোকসান গুণতে হবে খামারিদের।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আইনুল হক বললেন, প্রাণির উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়ায় গবাদি পশুতে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তাই প্রতিবেশী দেশ থেকে প্রতি বছরের মতো গরু আসার প্রয়োজন নেই। এছাড়া দেশে এখন কোরবানির উপযোগী গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ৭১ লাখ বলে জানান তিনি।
আরকে/জেএইচ
মন্তব্য করুন