শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান অব্যাহত
সপ্তাহের শেষ দিনেও শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান অব্যাহত রয়েছে। টানা এই উত্থানকে অনেকেই মনে করছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার সফলতা। ফ্লোর প্রাইস (দামের সর্বনিম্ন সীমা) চালু হওয়া এবং অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ায় ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে দেশের এই পুঁজিবাজার।
সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব কয়টি মূল্যসূচক বেড়েছে। এতে কিছুটা হলেও হাফ ছেড়েছে ব্যবসায়ীরা।
এর আগে টানা দরপতন দেখা দিলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত বৃহস্পতিবার শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়।
গত রোববার (৩১ জুলাই) থেকে কার্যকর হয় এই ফ্লোর প্রাইস। এতে আশায় বুক বাঁধে শেয়ার ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহের শুরুতে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। সূচকের ঊর্ধ্বমুখী হয়। ডিএসইর প্রধান সূচক ১৫৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
সোমবারও শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রাখে। এদিন ডিএসই এর প্রধান মূল্যসূচক ৩০ পয়েন্ট বাড়ে। এর পাশাপাশি লেনদেন বেড়ে ৯১২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় উঠে আসে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান।
সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (২ আগস্ট) লেনদেনের গতি আরও বাড়ে। এ সময় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দামের পরিবর্তে ক্রয়মূল্য দেখা হবে। এতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে।
পরদিন মঙ্গলবার রাতেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠির বিষয়টি প্রকাশ হতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতেই প্রায় সবকয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে যায়।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে একই অবস্থা চলতে থাকে। প্রথা অনুযায়ী শেষ দিবসের বিক্রয় চাপ যখন পড়ে তখন পতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে সূচক ঋণাত্মক হয়। তবে শেষের দিকে বড় কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বাড়লে সূচকের উন্নতি দিয়ে সপ্তাহের লেনদেন শেষ হয়।
এদিনে লেনদেন ডিএসইতে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বাড়ে। আর দাম কমে ১৯৯টির এবং ৫৩টির দাম অপরিবর্তন হয়নি। আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩১২ পয়েন্টে উঠে আসে সূচক। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সারা দিনে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৯০ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার। যা আগের দিনের তুলনায় কমেছে ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় চলে আসে- ওরিয়ন ফার্মা, ম্যাকসন স্পিনিং, সোনালি পেপার, একমি পেস্টিসাইড, বেক্সিমকো ফার্মা, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স।
অপর দিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৫৭ পয়েন্ট বাড়ে। ১১৭ শেয়ারের দর বেড়েছে। কমেছে ১২২টির দর এবং ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। এই বাজারে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য করুন