করোনা : ব্যাংকগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসছে
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস অর্ধেক জনবল দিয়ে চালানোর নির্দেশনাসহ নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
এর আগে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৩ জানুয়ারি ১১টি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পরে ২১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ ৬টি নির্দেশেনা দেওয়া হয়।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৯০৬ জন। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।
এনএইচ/এসকে
মন্তব্য করুন
স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ
দাম বাড়ানোর দুদিনের মাথায় দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে সোনার নতুন দাম কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৪০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালোমানের এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাজুস।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল।
দেশের বাজারে আরও কমলো স্বর্ণের দাম
চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর স্বর্ণের দাম কিছুটা কমায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন দাম নির্ধারণের তিন দিন না যেতেই এবার আবার স্বর্ণের দাম কমালো দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
জানা গেছে, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম আরও ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে বাজুস। এদিন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ৯ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৫৬৬ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৬ টাকা কমিয়ে ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অবশ্য স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে ক্রেতাদের। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে মঙ্গলবার থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে এক লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ টাকা।
স্বর্ণের দাম আরও কমলো
চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর পরপর দুদিন স্বর্ণের দাম কমলো। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ২ হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এদিন বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সমিতিটি।
জানা গেছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার প্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা করা হয়।
৪০০ সিসির পালসার বাজারে আসার আগেই ফাঁস হলো দাম
বাজাজের ৪০০ সিসির পালসার নিয়ে চলছে আলোচনা। তরুণরা এই বাইক চালানোর জন্য মুখিয়ে আছেন। যদিও এখনো বাজারে আসেনি মোটরবাইকটি। এরই মধ্যে জানা গেল বাইকের দাম।
পালসার ৪০০ বাইকের টিজার প্রকাশ করল বাজাজ। আগামী মাসেই আসছে কোম্পানির বহু প্রতীক্ষিত মোটরবাইক। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কোম্পানি। ইতোমধ্যে একাধিক বাইকের আপডেটেড ভার্সন বাজারে এনেছে বাজাজ। এবার ৪০০ সিসির পালসার লঞ্চ হওয়ার অপেক্ষা। বাইকের দাম হতে পারে ভারতে ২ থেকে সোয়া দুই লাখ রুপি। সিসি লিমিটের কারণে এই বাইক বাংলাদেশের বাজারে আসার সম্ভাবনা নেই।
বাজাজ এনএস ২০০ বাইকের চেসিস এবং ডমিনার ৪০০ বাইকের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে এই মোটরসাইকেল। আর কিছুদিনের মধ্যেই ফ্ল্যাগশিপ বাইক লঞ্চ করতে চলেছে কোম্পানি। ৩ মে ভারতে লঞ্চ হবে বাজাজ পালসার ৪০০ মডেল।
জানা গিয়েছে, বাইকের দাম সাধ্যের মধ্যেই রাখা হবে। এটি কিনতে খুব বেশি চাপ পড়বে না। প্রিমিয়াম বাইক কিনতে যে টাকা খরচ করতে হয় তা এক্ষেত্রে করতে হবে না।
ভারতের অন্যতম সস্তা ৪০০ সিসির বাইক হতে চলেছে বাজাজ পালসার ৪০০। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে বাইকের টিজারও প্রকাশ করেছে কোম্পানি। দারুণ হাই-পারফরম্যান্স ইঞ্জিন থাকবে বাইকে যা সর্বোচ্চ ৪০ হর্সপাওয়ার এবং ৩৫ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। সঙ্গে মিলবে ৬ স্পিড গিয়ারবক্স।
বাজাজ পালসার ৪০০ মডেলে বেশ কিছু ফিচার্সও থাকতে চলেছে। বর্তমানে কোম্পানির ঝুলিতে শুধুমাত্র একটি ৪০০ সিসির বাইক রয়েছে যা হল ডমিনার। যা লঞ্চ হয়ে অনেকদিন আগেই।
গত বছরই কোম্পানির সিইও রাজীব বাজাজ জানিয়েছিলেন, তারা শিগগিরই সবথেকে বড় পালসার হাজির করতে চলেছে।
এই বাইকে থাকবে স্লিপ ও অ্যাসিস্ট ক্লাচ। টপ মডেলে পাবেন কুইকশিফটারও। ডিজাইনের দিক দিয়ে ফ্রন্ট ও রিয়ার সেকশনে বেশ কিছু চমক থাকতে পারে। পালসার ৪০০ বাইকের গঠন দেখবার মতো হবে বলে আশা করছেন সবাই।
ফিচার্সের ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে সামনে ইউএসডি ফর্ক ও পেছনে মনোশক সাসপেনশন। বাইকের দুই চাকাতেই মিলবে ডিস্ক ব্রেক সঙ্গে ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম। সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল এবং ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি পাওয়া যাবে বাইকে। এ ছাড়াও মিলতে পারে টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন।
অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা একসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ জন কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপপরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজকে।
এ ছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে।
চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।
এক সময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কিন্তু এখন হয়েছে উল্টো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের অন্য যে কোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন বেশি। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে নানাভাবে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা ছিল। সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রাধান্য ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর একাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। ২০১৯ সালের এডি ব্যাচ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এক দিনের ব্যবধানে আরও কমলো স্বর্ণের দাম
চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর তিন বার কমলো স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ৬৩০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এদিন বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সমিতিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬০ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮ হাজার ৪০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ৯১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ৮০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা করা হয়।
চলতি এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৮ বার করেছে বাজুস। আর ৮ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে সমিতিটি।
যে কারণে চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা
একজন উপপরিচালক, একজন অফিসার ও ৫৫ জন সহকারী পরিচালকসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট ৫৭ জন কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়। চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।
এসব কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর অ্যাকাডেমি রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট পেতেন যোগদানকারীরা। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের পূর্বে তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। বর্তমানে পদ খালি থাকলেও চাকরির বয়স পাঁচ বছর না হলে পদোন্নতি দেওয়া হয় না। পূর্বের ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে যে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো সেটিও বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি চাকরির পঞ্চম গ্রেডে মাসিক কার মেইনটেন্যান্সের ৪৫ হাজার টাকা যে ভাতা দেওয়া হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক তা দেয় না।
অন্যদিকে, দেশের ব্যাংক খাতে বর্তমানে চলমান অস্থিরতা, সুযোগ সুবিধা কমানো, ব্যাংক একীভূতকরণ, খেলাপি ঋণের রেকর্ড, ডলার ও তারল্য সংকটের কারণে আতঙ্কিত হয়ে কর্মকর্তারা চাকরি ছাড়ছেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে।
দেশের অন্য যেকোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন ও সুবিধা বেশি ছিল বলে একসময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কিন্তু এখন তার উল্টো হচ্ছে।