নাশকতায় না, গাফিলতিতে আগুন
বাংলাদেশে ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের কর্মকর্তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল না। তবে গাফিলতির কারণে আগুন লেগেছে। বললেন ফায়ার সার্ভিসের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-পরিচালক (ঢাকা) সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিসের ওই তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন। গেলো সোমবার কমিটির দু’জন সদস্য ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটির সব সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া সম্ভব হবে জানিয়ে সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, কেটলির শর্টসার্কিট থেকেই মূলত আগুনের সূত্রাপাত হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
সুত্রমতে, তদন্ত কমিটির সদস্যরা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহের কথা জানান। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের ফুটেজ দেয়নি। এছাড়া তদন্ত কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে তার বিবরণ চেয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে মুদ্রানীতি বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মাসুদ বিশ্বাসের কক্ষের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এর আগে গেলো শনিবার ঢাকা বিভাগের এ ডেপুটি ডিরেক্টর জানান, ইলেক্ট্রিক চায়ের কেটলির শর্ট সার্কিট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজারের রুমে থাকা কেটলি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে ওই রুমে থাকা কয়েকটি চেয়ার-টেবিল পুড়েছে। তবে আগুনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার, কাগজ ও ফাইলের ক্ষতি হয়নি।
এর আগে ঘটনার দিন ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে এবং ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিকে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
গেলো বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৪তলায় বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এমসি/ডিএইচ
মন্তব্য করুন