• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রেকর্ড রেমিটেন্সের পর এবার দেশের অর্থনীতিতে আরেকটি সুখবর (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক
  ১০ আগস্ট ২০২০, ২১:২৭
রেকর্ডের রেমিটেন্সের পর এবার দেশের অর্থনীতিতে আরেকটি সুখবর
দেশের অর্থনীতিতে আরেকটি সুখবর

প্রবাসী আয়ের রেকর্ডের পর এবার দেশের অর্থনীতিতে আরেকটি সুখবর। তিন মাস পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের রপ্তানি খাত। ইপিবি’র তথ্যে অনুযায়ী, জুলাই মাসে বিদেশে রপ্তানি হয়েছে ৩৯১ কোটি ডলারের পণ্য। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৩ দশমিক চার শতাংশ বেশি। আর বছরের ব্যবধানে বেড়েছে দশমিক ছয় শতাংশ। ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপে করোনার প্রকোপ কমতে থাকায় আগের স্থগিত ও বাতিল ক্রয়াদেশ ফিরে আসাই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মূল কারণ।

করোনা মহামারির কারণে গেল মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে পণ্য কেনার আদেশ একে একে বাতিল করতে থাকেন ইউরোপ আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা। এতে প্রায় তলানি ঠেকে দেশের সার্বিক রপ্তানি সূচক।

তবে আশার কথা টানা তিন মাস নেতিবাচক ধারায় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রপ্তানি খাত। ইপিবি’র পরিসংখ্যানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক চার শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে গেল জুলাই মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩৯১ কোটি ডলারের পণ্য। যা গত এপ্রিলের চেয়ে ৮৩ শতাংশ মে’র চেয়ে ৬২ শতাংশ ও জুন মাসের চেয়ে তিন শতাংশ বেশি।

বিকেএমইএ এর সহসভাপতি (প্রথম) মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ক্যান্সেল হওয়া কিছু অর্ডার আমরা ফিরে পেয়েছিলাম। সেগুলো ঈদের আগে পাঠানোর একটা পেশার ছিল আমাদের উপর।

বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, আমাদের মূল বাজার কিন্ত ইউরোপ। যেহেতু সেখানে করোনার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে তাই বায়ার আসতে শুরু করেছে এবং আমাদের রপ্তানির টার্গেটের ২৫% বেশি হয়েছে।

রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ বা ৩২৪ কোটি ডলার এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। কৃষি ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে দশ কোটি ডলার করে। আর চামড়াজাত পণ্য থেকে এসেছে নয় কোটি ডলার।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজের অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেআই হোসাইন বলেন, দুই তিন মাস পরে যখন ২০২১ সালের সামারের ব্যবসা শুরু হবে। তখন আমরা বুঝতে পারবো। ব্যবসা কোন দিকে যাবে। ১৯ পার্সেন্ট অ্যামেরিকার বাজার পরে গেছে। সেটাকে মাথায় রেখে এখনই আমাদের কাজ করতে হবে।
এমন বাস্তবতায় আগামী দুই বছর সরকারের বিশেষ নীতি সহায়তা চাইছেন ব্যবসায়ীরা।

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, দেশি সুতার বিপরীতে যে নগদ ৩ শতাংশ বা ৪ শতাংশ সহায়তা দেয়া হয় সেটাকে যেন আগামী দুই তিন বছরের জন্য ১০ শতাংশ করে দেয়া হয়। তাহলে আমরা টিকে থেকে পরে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।

রপ্তানির এই ধারা ধরে রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎপাদন কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন বিশ্লেষকরা।

এসএ/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অর্থনীতির সংকট কাটতে শুরু করেছে
‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ পুষ্টিকর খাবার কাটছাঁট করছেন’
‘জনগণের আমানতকে যারা খেলা মনে করে তাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত’
অর্থনীতিতে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রাশিয়া
X
Fresh