রাজধানীর শপিংমলে ক্রেতার দেখা নেই (ভিডিও)
এবার ঈদুল আজহায় রাজধানীর শপিংমলগুলোতে গত বছরের তুলনায় দশ ভাগের এক ভাগ পোশাক বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব প্রস্তুতি নেয়া হলেও দোকানে ক্রেতার দেখা নেই। এই বাস্তবতায় পুঁজি হারিয়ে বড় লোকসানের আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সরকারের সহযোগিতা না পেলে বন্ধ হবে অনেক দেশী পোশাকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বেকার হবে লাখ শ্রমিক।
পহেলা বৈশাখ, ঈদুল ফিতর আর ঈদ উল আযহা, বছরের এই তিনটি উৎসবেই ৭০ ভাগ পণ্য বেচাকেনা করেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
মহামারির কারণে এবার মুখ থুবড়ে পড়েছে পোশাক ব্যবসা। পহেলা বৈশাখে আগে বন্ধ ছিল দেশের সব শপিং মল, ঈদুল ফিতরের আগে কিছু দোকান খুললেও ক্রেতার দেখা মেলেনি। আর কোরবানি ঈদের কয়েক দিন বাকি থাকলেও ক্রেতা শূন্য বেশীরভাগ শপিংমল।
বিক্রেতারা জানান, ফ্যাশন সচেতনদের জন্য নতুন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে শতভাগ প্রস্তুত থাকলেও, বিক্রি হচ্ছে খুবই কম। তারা বলছেন, গত বার আমরা যে বিক্রি করেছি তার ১০% ও এবার বিক্রি হবে না।
এমন বাস্তবতায়, দেশী পোশাক খাতকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি প্রণোদনা দাবী করেন দোকান মালিকরা।
‘রং বাংলাদেশ’ এর প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস, বিশাল জনগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে পরবে এবং অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে সরকারের সুদৃষ্টি আশা করছি। ব্যাংকগুলো যদি লোনের একটা ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে এই অর্থনৈতিক চালিকা অতি তাড়াতাড়ি সচল হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতর সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকারের নির্দেশে শপিংমলগুলো খোলা রাখা হচ্ছে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। তবে ঈদের কেনাকাটা জমে সন্ধ্যার পর থেকে। যদি ঈদ উপলক্ষে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকান রাখা যায়, তাহলে আমরা কিছু স্বস্তির ফিরে পাই।
এসএ/এসএস
মন্তব্য করুন