জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি
জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। মূলত উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে জেলার ৬টি উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। সেগুলো হলো ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি, মাদারগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা। এই উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
পানিবন্দি এসব মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ায় ফলে এলাকার অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তার সঙ্গে বন্যা যোগ হওয়ায় পানিবন্দি এলাকার মানুষরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদের ঘরে পর্যাপ্ত খাবার নেই। অনেকে খাবারের অভাবে চিড়া-মুড়ি খেয়েও থাকছেন।
এদিকে পানিবন্দি এলাকার জনসাধারণ আশ্রয়কেন্দ্র, সেতু ও উঁচু স্থানে যেতে শুরু করেছেন। ঘরবাড়ি বানের পানিতে ভেসে যাওয়ায় অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এছাড়াও পানিবন্দি এলাকার ৩ হাজার হেক্টর জমির পাট, আউশ ধানের বীজতলা ও সবজি বাগান পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটও দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে গো খাদ্যেরও অভাব দেখা দিয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধি প্রথম দফার রেকর্ড ভেঙেছে। এতে কোথাও শুকনা জায়গা নেই। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তাঘাটসহ ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। এসব এলাকায় এখন তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেছেন, বন্যা কবলিত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করা হয়েছে।
এজে
মন্তব্য করুন