• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

৫০ মণের ষাঁড় ‘যুবরাজ’, দাম ৩০ লাখ!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৩ জুলাই ২০২০, ২২:৫৮
50 ounce bull 'Yuvraj', price 3 million!
ছবি সংগৃহীত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে প্রায় ৫০ মণ ওজনের এক ষাঁড়কে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছে। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ এই ষাঁড়কে দেখতে আসছে। তার সঙ্গে সেলফি উঠানোর হিড়িকও চলছে। অনেকে আবার এই ষাঁড়ের সঙ্গে তোলা ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এসব কারণে ষাঁড়টি এখন আলোচিত হয়ে উঠেছে। তাকে দেখার জন্য প্রতিদিন জনতার ভিড় বেড়েই চলেছে।

শাহআলম মিয়ার পৈত্রিক বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায়। স্কুল ও কলেজ জীবন শিবচরেই কেটেছে তার। প্রায় ৮ বছর আগে এক বন্ধুর হাত ধরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে চলে আসে এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। এরপর অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি সিঙ্গাপুরসহ ৪১টি দেশে গিয়েছেন। পরে ঝিনাইদহে ফিরে এসে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় করে বাড়ি ও বাড়ির সাথে একটি খামার করেন। খামারের নাম দিয়েছেন আব্দুল্লাহ এগ্রো এ- ডেইরি ফার্ম। ৭ বছর হলো এই খামারেই তিনি গরু লালন-পালন করেন। বর্তমানে তিনি এই খামারেই সময় দেন।

ফার্ম মালিক শাহআলম মিয়া জানান, আমার এই ফার্মের নাম আব্দুল্লাহ এগ্রো এ- ডেইরি ফার্ম। যুবরাজ নামে ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি স্থানীয় বাজার থেকে ৬ মাস বয়সে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় কিনে আনা হয়। এখন তার বয়স ৪ বছর ৬ মাস। শুধু মাত্র এই ষাঁড়ের পেছনে প্রতিদিন খাবারের জন্য খরচ হয় প্রায় ২ হাজার টাকা। আমি প্রায় ৭ বছর ধরে খামার পরিচালনা করছি। যুবরাজের ওজন এখন ৫০ মণের ওপরে। আমার গরুটির দাম চেয়েছি ৩০ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে আমার গরুটির দাম ১৯ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়েছে।

তিনি জানান, গত বছর ঈদে এটির দাম ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হয়েছিল। এবার করোনাভাইরাসের মধ্যে কি হয় জানি না ভাগ্যে কি আছে। গরুটির পেছনে ১৭/১৮ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। যদি আমি ন্যায্য মূল্য না পাই তাহলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব।

ওই গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান জানান, শাহআলম মিয়া গরুর সঙ্গে কথা বলে। তিনি নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে। মালিক যে নির্দেশ দেয় সেটাই যুবরাজ পালন করে।

তিনি জানান, এই যুবরাজ তাদের গ্রামটি অনেক এলাকার মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন যুবরাজকে দেখতে।

ঝিনাইদহ শহর থেকে আসা দর্শনার্থী সেন্টু জানান, তাদের এলাকার অনেকে যুবরাজকে দেখে গল্প করছিলেন। এই গল্প শুনে তিনিও এসেছেন।

তিনি বলেন, গরুটি দেখে গরু মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে এটি একটি হাতি। তিনি তার জীবনে এমন গরু কখনও দেখেনি। এছাড়াও তিনি প্রবাসী এক আত্মীয়ের জন্য আসছে ঈদুল আজহায় কোরবানি দেওয়ার জন্য গরুটির দাম দিয়েছেন ১৯ লাখ টাকা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, তারা গরুটির ওজন আনুমানিক ৫০ মণ বলে ধারণা করছেন। ঈদ আসতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে। এরই মধ্যে আরও কিছু ওজন বাড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।

তিনি বলেন, জেলায় যুবরাজই প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে শ্রেষ্ঠ গরু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঢাকার যেসব জায়গায় বসবে কোরবানির পশুর হাট
কোরবানির ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
ব্রাজিল থেকে কোরবানির পশু আনতে চায় সরকার
নেশনস কাপে মিশরের সৌভাগ্যের আশায় গরু কোরবানি
X
Fresh