পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী মনোয়ারা ও ছেলে সোহাগকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে হারেজ নাম এক ব্যক্তি।
এ ঘটনার পর সে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গেল মঙ্গলবার দিনগত রাত দুইটার দিকে পশ্চিম ভোলাইল গেউদ্দার বাজার এলাকার শাহ আলমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আট থেকে ১০ বছর আগে এ পরিবারের বড় ছেলে আত্মহত্যা করে বলে জানান তার ঘনিষ্ঠজনরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের রিকশাচালক হারেজ মিয়া পরিবার নিয়ে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল শাহ আলমের বাড়িতে ভাড়া থাকে। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম স্থানীয় একটি মিনি গার্মেন্টসে চাকরি করে। আর ছেলে সোহাগ গার্মেন্টে চাকরি করে। সবার ছোট মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
হারেস তার স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করে। এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের সংসারে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে হারেস মিয়ার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করে। মাকে বাঁচাতে ছেলে সোহাগ ছুটে গেলে হারেস ছেলেকেও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর হারেস নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তাদের চিৎকারে মেয়ে বিথীর ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে সোহাগসহ হারেস ও মনোয়ারা বেগমকে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্বামী স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যায় মনোয়ারা বেগম। হারেসের অবস্থাও আশঙ্কাজনক রয়েছে। সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মনোয়ারার মেয়ে ও নিহত সোহাগের ছোট বোন বিথী জানান, তার বাবা তার মাকে সন্দেহ করতো। এ নিয়ে সংসারে প্রায় সময় ঝগড়া হয়। মঙ্গলবার রাতে তার বাবা বাসায় এসে ঝগড়া করে তার মাকে ছুরিকাঘাত করে। তার মাকে বাঁচাতে যায় তার ভাই সোহাগ। পরে তার বাবা সোহাগকে ছুরিকাঘাত করে।
এদিকে হারেসের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, ৮-১০ বছর আগে পারিবারিক কলহ দেখে হারেসের আরেক ছেলে আত্মহত্যা করেছিলো।
জেবি
মন্তব্য করুন