মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদে চাকরি, দুই পুলিশের বিরুদ্ধে চার্জশিট
যশোরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরির মামলায় দুই পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, সদরের এনায়েতপুর গ্রামের কাওছার আলীর মেয়ে সোনিয়া খাতুন (নড়াইল কনস্টেবল নম্বর ৫০৬) এবং বাঘারপাড়ার নরসিংহপুর গ্রামের দিপন বিশ্বাসের ছেলে নব কুমার বিশ্বাস (কনস্টেবল নম্বর ৭৪৯)।
মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফকির ফেরদৌস আলী। চার্জশিটে নব কুমার বিশ্বাসকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি যশোর পুলিশ লাইন ময়দানে কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হয়। এদিন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কনস্টেবল পদে সোনিয়া খাতুন ও নবকুমার বিশ্বাস চূড়ান্ত নির্বাচিত হন। ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিভিন্ন কর্মস্থলে যোগদান করানো হয়। এরপর তাদের দেওয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট যাচাই-বাছায়ের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যাচাই-বাছায়ে ওই দুইজনের দেওয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।
এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর যশোর পুলিশের রিজার্ভ অফিসার পুলিশ পরিদর্শক এম মশিউর রহমান বাদী হয়ে ওই দুইজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলাটির তদন্তকারী অফিসার এসআই ফকির ফেরদৌস আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত সোনিয়া খাতুন জামিনে আছেন বলেও তিনি জানান।
জেবি
মন্তব্য করুন