ঢাকায় নিখোঁজ কিশোরী সিলেটে উদ্ধার, আটক দুই
ঢাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া এক কিশোরীকে সিলেটে এনে বিক্রি করার সময় দুই মানব পাচারকারীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিলেটের জালালাবাদ থানার নতুনবাজার এলাকা থেকে দুই মানবপাচারকারীসহ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দিরাই থানার ধল গ্রামের মো. বাজিদ উল্লার ছেলে জাহান মিয়া (২৫) ও আনোয়ারপুর গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে রোমান মিয়া (২১)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গেল ২৪ জুন ঢাকার বনানী থানার কড়াইল বিটিসিএল এলাকা থেকে ১৬ বছরের এক কিশোরী মায়ের সঙ্গে রাগ করে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে কিশোরীর ভাই শাহাবুদ্দিন ঢাকার বনানী থানায় গেল ২৬ জুন একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরবর্তীতে একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে মেয়েটি সিলেট শহরে আছে জানতে পারেন মেয়ের ভাই শাহাবুদ্দিন।
গতকাল বুধবার সকালে তিনি তার বোনকে উদ্ধারের জন্য সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের কাছে সহায়তা চান।
পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম ভিকটিমকে উদ্ধারে শুরু করে অভিযান।
এরপর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (দক্ষিণ জোন) সিলেটের অফিসার ইনচার্জ আশীষ কুমার মৈত্রর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সৈয়দ ইমরোজ তারেক একদল ফোর্স নিয়ে অভিযান শুরু করেন। সন্ধ্যা ছয়টায় পুলিশ কৌশলে জালালাবাদ থানার নতুনবাজার থেকে মানবপাচারকারী চক্রের হাত থেকে উদ্ধার করে কিশোরীকে। এ সময় মানবপাচারকারী চক্রের দুই সদস্য জাহান ও রুমানকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ বিষয়ে সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিডিয়া মো. লুৎফর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় মেয়েটিকে রাতের বেলা একা পেয়ে মানবপাচাকারী চক্রের সদস্য জাহান মিয়া সুকৌশলে সিলেটে এনে চক্রের অন্য সদস্য রোমান মিয়ার কাছে হস্তান্তর করে।
পরে রোমান মিয়া ভিকটিমকে বিক্রির উদ্দেশে সিলেট নগরীর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা শুভরাজের হেফাজতে রাখে। ভিকটিমকে দেহ ব্যবসায় ব্যবহারের উদ্দেশে মানব পাচারকারীচক্র সিলেটে নিয়ে এসেছিল। আটক হওয়া দুই মানবপাচারকারী ও ভিকটিমকে ডিএমপির বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন