• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নাটোরে করোনাকালেও বন্ধ হয়নি কোচিং বাণিজ্য, কঠোর হচ্ছে প্রশাসন

শেখ তোফাজ্জল হোসাইন, নাটোর

  ২৫ জুন ২০২০, ১৩:২৭
Natore
প্রতীকী ছবি

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেই নাটোরে থেমে নেই কোচিং বাণিজ্য। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সুকৌশলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনেও কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছেন কিছু অসাধু শিক্ষক!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েও নাকি এ ‘ব্যবসা’ চালানো হচ্ছে। বড়াইগ্রামের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, এক জনের দেখা-দেখি বসে নেই অন্যরাও।

গত ১৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপসচিব মো. আবু নাসের বেগ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে শিশুদের সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ-নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই এলাকায় কোচিং চলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।

এলাকাবাসীর অভিযোগ জেলার অধিকাংশ উপজেলাতেই কোচিং বাণিজ্য চলছে। বিশেষ করে নাটোর সদরসহ বড়াইগ্রাম, লক্ষীকোল, মহানন্দগাছা, বাঘাইট, গুরুদাসপুর ও লালপুরের বিভিন্ন এলাকায় বহাল তবিয়তে চলছে এই কোচিং বাণিজ্য।

সম্প্রতি এসব এলাকার কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও লালপুরের একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, কিছু অসাধু শিক্ষক কলেজে পড়ুয়া ছাত্রদের সহযোগিতায় ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রামের কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষের বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছে।

এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে ও মুঠো ফোনের মাধ্যমে অভিভাবকদের বুঝানো হচ্ছে পুলিশের অনুমতি নিয়েই কোচিং চালাচ্ছি এবং এভাবেই শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে উপস্থিতি করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, একাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং চলায় বজায় থাকছে না সামাজিক দূরত্ব এবং কেউ-কেউ ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব দেখাচ্ছে। যেখানে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেন, সেখানে কিভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোচিং সেন্টার চালায় এমন প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে।

নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ পিএএ কোচিং সেন্টার বন্ধের বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা না মেনে কোচিং চালাচ্ছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা আরটিভি নিউজকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমনের হাত থেকে বাঁচার জন্য ইতোমধ্যে নাটোর জেলার সকল উপজেলা থানা পর্যায়ে বিভিন্ন মোড়ে-মোড়ে চায়ের দোকানগুলোতে অভিযান চালিয়ে দোকানের ক্যারাম বোর্ডসহ টিভিগুলো সিজ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং মাস্ক না পরায় ভ্রাম্যমানের মাধ্যমে অনেক জায়গাতেই জরিমানা করা হয়েছে এবং এ অভিযান চলমান থাকবে।

প্রশাসনের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, যারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোচিং সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে কোনও ক্রমেই ছাড় দেয়া হবে না। তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে।

করোনা সংক্রমনের মধ্যেও কোচিং সেন্টার চালানো প্রসঙ্গে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার পারভেজ আরটিভি নিউজকে বলেন, কোচিং সেন্টারসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোনও ক্রমেই কোচিং সেন্টার চালাতে পারবে না কেউই। যদি কেউ কোচিং সেন্টার চালায়, সে যেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জেলার সব কোচিং সেন্টার বন্ধসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সচেতন মহল।

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
‘হিটস্ট্রোকে’ সৌদিপ্রবাসীর মৃত্যু
বউভাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ভ্যানচালকের মৃত্যু
X
Fresh