নারায়ণগঞ্জের ১৪টি এলাকা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত
নারায়ণগঞ্জের ১৪টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে এসব এলাকার ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় জানতে করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) ‘রেড জোন’ চিহ্নিত করার পর এ ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৫টি এলাকা, সদর উপজেলার ৫টি এলাকা, আড়াইহাজারের দু’টি এলাকা, রূপগঞ্জের দু’টি এলাকা, সোনারগাঁওয়ের দু’টি এলাকা ও বন্দর উপজেলার একটি এলাকা রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কার্ড বিবরণী জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সদরে গোগনগর ৩ নম্বর ওয়ার্ড, এনায়েতনগর ৩ নম্বর ওয়ার্ড, সোনারগাঁ উপজেলার আমিনপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ড, মুগড়াপাড়ার ১ নম্বর ওয়ার্ড, আড়াইহাজার উপজেলার আড়াইহাজার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড, হাইজাদীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড, ভ্রাস্মান্দিও ৩ নম্বর ওয়ার্ড, রূপগঞ্জের তারাবো ২ নম্বর ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড, কাঞ্জনের ২ নম্বর ওয়ার্ড ও ভূলতার ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১, ২, ৮, ১২, ১৩, ১৮ ও ২৪ নম্বর ওর্য়াড রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করে প্রাস্তাবনা প্রেরণ করা হয়।
এসব এলাকায় বর্তমান নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি এক লাখে ১০ জনের বেশি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া নির্দেশনা অনুযায়ী এসব এলাকা রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত করে এ ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশনা বা করণীয় জানতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, আমরা ১০ এর অধিক এলাকাকে এরমধ্যে ‘রেড জোন’ চিহ্নিত করে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটিতে পাঠিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবেন কিংবা এসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা শুধু চিহ্নিত করেছি, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা পাওয়ার পর এসব এলাকাকে রেড জোন কিংবা লকডাউন কিংবা দুটোই ঘোষণা করা হবে। আবার নতুন কোনও নির্দেশনা এলে এসব এলাকা পরিবর্তন হতে পারে। সেক্ষেত্রে হয়তো নতুন এলাকা সংযোজন কিংবা বিয়োজন হতে পারে।
এসএস
মন্তব্য করুন