কুড়িগ্রামে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করলেন পুলিশ সুপার
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ সরকারের বেধে দেয়া শতকরা ষাট ভাগ ভাড়া নিয়ে সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামেও দূরপাল্লার বাস যাতায়াত করা শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ সহজতর করতে ষাট শতাংশ ভাড়া আদায়, অর্ধেক কিংবা তার কম যাত্রী উঠানো, গাড়িতে উঠা ও নামার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সকল নিয়ম মেনে বাস চলাচল নিশ্চিত করতে প্রশাসন মাঠে নেমেছে।
মঙ্গলবার (২ মে) রাতে কুড়িগ্রামের ঘোষপাড়া থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামগামী নৈশকোচের যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ খবর শুনে তাৎক্ষণিক কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান সেখানে যান এবং শ্যামলী পরিবহণ ও নাবিল পরিবহণের যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার প্রমাণ পান। এরপর যাত্রী ও মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে তিনি পরিবহণ মালিককে অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। পরে মালিকপক্ষ যাত্রীদের অধিকাংশকে অতিরিক্ত ভাড়া দুই থেকে তিনশ’ টাকা করে প্রত্যেককে ফেরত দেন। এরপর পুলিশ সুপার সকল গাড়ি স্বাস্থ্যবিধি চেক করে গাড়ি ছেড়ে দেয়ার অনুমতি দেন। এসময় বাসের যাত্রীরা অতিরিক্ত টাকা ফেরত পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
টিকিটের অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত পেয়ে ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের যাত্রী মমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের ইদ পরবর্তী ঢাকা যাওয়া ভীষণ জরুরি। তারা অতিরিক্ত ভাড়া ছাড়া টিকিট দিতে রাজি হননি। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে হয়েছে। কিন্তু এসপি সাহেবের অভিযানে আমরা প্রায় ১০ জন নাবিল ও শ্যামলী পরিবহণের যাত্রী অতিরিক্ত টাকা ফেরত পেলাম।
পুলিশ সুপার করোনাকালে মনিটরিং করার নিশ্চয়তা প্রদান করেন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ বাস ভাড়া সঠিকভাবে নেয়া মনিটর করা হবে। শহরে এবং শহরের বাইরে বিভিন্ন চেক পোস্টে অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।
এসময় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আনোয়ার ও ট্রাফিক সার্জেন্ট আনাম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ জেলা থেকে প্রায় দুই শতাধিক দূরপাল্লার বাস ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও চট্টগ্রামে যাতায়াত করে। গত ২জুন থেকে জেলার অধিকাংশ বাস ঢাকা যাতায়াত শুরু করেছে।
এসএস
মন্তব্য করুন