আম্পানের তাণ্ডবে পাবনায় ২০০ কোটি টাকার লিচুর ক্ষতি
পাবনায় একদিকে করোনার কারণে লিচু বিক্রি নিয়ে বিপাকে লিচু বাগানের মালিকেরা। আবার ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে মৌসুমি ফল লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। লিচুর জন্য বিখ্যাত পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২৫ শতাংশ লিচু ঝরে গেছে। এতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। এছাড়া ঝড়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আম, সবজি, কলা ও আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পাবনা কৃষি বিভাগ জানায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে লিচুর। লিচুর বোঁটা নরম হওয়ায় ঝোড়ো বাতাসে পাকার অপেক্ষায় থাকা প্রায় ২৫ শতাংশ লিচু ঝরে পড়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার হিসাব অনুযায়ী শুধু লিচুতেই ২০০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ২০ শতাংশ আম, ১০ শতাংশ সবজি এবং ২৫ শতাংশ জমির কলা নষ্ট হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পাবনা জেলায় প্রায় ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। লিচুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদিত এই লিচুর বাজারমূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। প্রতিটি বাগানে থোকায় থোকায় লিচু এখন পাকার অপেক্ষায় আছে। এ ছাড়া চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধান ও গমের আবাদ, সারে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি এবং ১৮০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদসহ প্রতিটি উপজেলাতেই প্রচুর আমের চাষ করা হয়েছে।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজাহার আলী ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিশ্চিত করে আরটিভি অনলাইনকে বলেন, প্রাথমিকভাবে লিচুর ক্ষতিটিই চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে বোরো ধানের ক্ষতি না হলেও আউশ ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আম, সবজি, কলাসহ অন্য সব ফসলের ক্ষতি নির্ণয়ের কাজ চলছে।
অন্যদিকে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি শুরুও হয়েছে। এ ব্যাপারে পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ফল-ফসলের ক্ষতি ছাড়া ঝড়ে তেমন কোনও বড় ক্ষতি বা কোনও হতাহতের ঘটনাও নেই। এরপরও প্রশাসনের কর্মকর্তারা তৃণমূল পর্যায়ে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের চেষ্টা চলছে।
এসএস
মন্তব্য করুন