ঘূর্ণিঝড় আম্পান: সাতক্ষীরা উপকূলে ঝড়বৃষ্টি
সাতক্ষীরা উপকূলে প্রচণ্ড বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে নদীতে জোয়ারের পানি।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করেই শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে জেলার এক হাজার ২৭২টি আশ্রয় কেন্দ্র। মানুষকে সতর্ক করে চলছে মাইকিং।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ ন ম আবুজর গিফারী জানান, উপকূলে ইতোমধ্যে ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমরা দ্বীপ ইউনিয়নগুলো থেকে পাঁচ হাজার মানুষকে নিরাপদে এ পারের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। সকাল থেকে কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গাবুরায় ১৫ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হবে। এছাড়া বাকি মানুষ ইতোমধ্যে আত্মীয়-স্বজনসহ নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ প্রত্যেক ইউনিয়নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। লাল ফ্লাগ উত্তোলন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস দুর্যোগ পূর্ব উদ্ধার করা শুরু করেছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা উপকূলে প্রথমে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে উপকূলে ৫-১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন