• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাজশাহীতে আম পাড়া শুরু ১৫ মে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

  ০৮ মে ২০২০, ১৮:১৭
Mango laying Rajshahi started 15 May
ফাইল ছবি

সুষ্ঠু বাজারজাত করণের লক্ষ্যে এবং ক্ষতিকারক কেমিক্যালমুক্ত আম সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবারও রাজশাহীতে আমপাড়ার সময়সীমা বেধে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই হিসেবে আগামী ১৫ মে’র আগে রাজশাহীতে কোনও ধরনের আম পাড়া যাবে না। ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে গুটি জাতের আম।

তবে জাতের আম পাড়া যাবে আরও দেরিতে। পর্যায়ক্রমে জেলায় বিভিন্ন জাতের আমপাড়া যাবে। তবে সেক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনেই আম বাজারজাত করতে হবে।

এই নির্দেশনার বাইরে গিয়ে কোনও ব্যবসায়ী বা আমচাষী আম বাজারজাত করলে এবং বাজারজাতের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাশাপাশি এবারও গত কয়েক বছরের ন্যায় সুষ্ঠু বাজারজাত ও সারাদেশে কেমিক্যালমুক্ত আম সরবরাহ নিশ্চিত করতে মাঠে থাকবে জেলা প্রশাসনের বিশেষ টিমসহ উপজেলা প্রশাসন।

সারা দেশে রয়েছে রাজশাহীর আমের ব্যাপক চাহিদা। সেই চাহিদার কারণে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সময়সীমার আগেই অপোক্ত আম গাছ থেকে পেড়ে কেমিক্যাল দিয়ে আম পাকিয়ে বাজারজাত করে আসছিলেন। এতে করে একপর্যায়ে রাজশাহীর আমের সুনাম নষ্ট হতে থাকে। এতে বাজার হারাতে থাকে রাজশাহীর আম। ফলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরাও লোকসানের মুখে পড়তে শুরু করেন।

এই অবস্থা থেকে সারাদেশে পোক্ত এবং কেমিক্যালমুক্ত আম বাজারজাত করার লক্ষ্য নিয়ে পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের রক্ষা করতে গত কয়েক বছর ধরে আমপাড়ায় সময়সীমা বেধে দিচ্ছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এতে করে সফলতাও এসেছে গত কয়েক বছরে। এবারও সে অনুযায়ী আম সরবরাহ করতে এবারও সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। তার আগে আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে নেয় জেলা প্রশাসন। সেই অনুযায়ী আগামী ১৫ থেকে গুটি জাতের আম পাড়ার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়।

এরপর গোপাল ভোগ জাতের আম ২০ মে থেকে, লক্ষ্মণা বা লক্ষ্মণভোগ ২৫ মে থেকে, রানীপছন্দ ২৫ মে, হিমসামর ২৮ মে থেকে, ল্যাংড়া ৬ জুন থেকে, আম্রপালি ও ফজলি ১৫ জুন থেকে এবং আশিনা ও বারি-৪ জাতের আম ১০ জুলাই থেকে পাড়া যাবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এই বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, অপরিপক্ব আম বাজারজাত ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। সুষ্ঠুভাবে মনিটরিং করে নির্দিষ্ট সময়েই আম নামানো হবে।

হামিদুল হক বলেন, অসময়ে আম পাড়া বন্ধে এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইড, পিজিআর, ফরমালিন, ইথিফনের মতো কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে যেন আম পাকানো না হয় তার জন্য নামানোর ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং পুলিশ কঠোরভাবে মনিটরিং করবে।

তবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে কোথাও নির্ধারিত সময়ের আগে গাছে আম পাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।

জেলা প্রশাসন বলেন, কৃষিপণ্য লকডাউনের বাইরে থাকায় চাষিদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাছাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ারে আম পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। ইতোমধ্যে সকল উপজেলায় এ ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এই সুযোগে কোনও অসাধু ব্যবসায়ী যেন অপোক্ত ও কেমিক্যালযুক্ত আম বাজারজাত করতে না পারে সে জন্যই গত কয়েক বছরের ন্যায় আমপাড়ার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে জেলা প্রশাসন।

তবে এর জন্য রাজশাহীর মানুষকে এবারো সচেতন থাকতে হবে। যেন কেউ অপরিপোক্ত আম বাজারজাত করতে না পারে।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh