ভোলা ফেরিঘাটে পোশাক কর্মীদের ভিড়
ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে বৃহস্পতিবারও পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা-চট্টগ্রামগামী গার্মেন্টস কর্মীরা অবস্থান করছেন। কয়েক হাজার কর্মীর এমন অবস্থানে ওই এলাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেড়িকেটে এরা ফেরিযোগে যেতে পারছে না।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসন ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও এসব কর্মীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ রিকশায় করে ফেরিঘাটে এসে ঝড়ো হন। কেউ কেউ রাতের অন্ধকারে ট্রলাওে উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরী ঘাটে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমনটাই দেখা যায় গেল পাঁচ দিন ধরে। গার্মেন্টস কর্মী বিলকিস বেগম জানান, দুই মে কাজে যোগদান না করলে চাকরি থাকবে না। নাছিমা বেগম জানান, তার গার্মেন্টস ২৬ এপ্রিল থেকে খুলেছে।
এমন কথা ঘাটে অবস্থানকারী শত শত কর্মীর। ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে এসব কর্মীদের এ মুহূর্তে ঘরে থাকতেই হবে। এ কারণে মালামাল ও পণ্য পরিবনের জন্য নির্ধারিত তিনটি ফেরিও বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তিনটি ফেরিকে ইলিশা ঘাটে এনে রাখা হয়েছে। এমন কঠোর অবস্থানের মধ্যেও অধিক ভাড়া দিয়ে কোনও কোনও যাত্রীকে অতিপ্রয়োজন দেখিয়ে স্পিডবোটে যেতে দেখা যায়। আবার অনেক যাত্রীকে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানান ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রতুন কুমার শীল।
জেবি
মন্তব্য করুন