• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কর্তৃপক্ষের ভুলে ২শ' দাখিল পরীক্ষার্থী বিপাকে

হাসান উল আজিজ, লালমনিরহাট

  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:২৪

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ভুলে লালমনিরহাটে প্রায় ২শ' দাখিল পরীক্ষার্থী চরম বিপাকে পড়েছেন। গেলো দু' বছর ধরে তারা ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়' পড়ে আসলেও বৃহস্পতিবার তারা 'শারীরিক শিক্ষা' বিষয়ের পরীক্ষায় দিয়েছেন। পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় কর্তৃপক্ষ বিষয় কোড ভুল করায় এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার কাকিনা মহিমা রঞ্জন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলার ১৯টি মাদ্রাসার প্রায় ৫০৪জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ৬টি মাদ্রাসার ক্ষেত্রেই ঘটেছে বিষয় পরিবর্তনের ঘটনা। মাদ্রাসাগুলো হচ্ছে, মনিরাবাদ সুফিয়া একরামিয়া আলিম মাদ্রাসা, শাখাতি জব্বারিয়ো দাখিল মাদ্রাসা, ভুল্লারহাট আশরাফিয়া দাখিল মাদ্রাসা, দলগ্রাম দাখিল মাদ্রাসা, তেতুলীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও কাশিরাম একরামিয়া আলিম মাদ্রাসা। এসব মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণীতে উঠে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছিল ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’। গেলো দু'বছর সে বিষয় পড়ে টেস্ট পরীক্ষাও তারা দিয়েছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত দাখিল পরীক্ষার প্রবেশপত্রে বিষয়টি বদলে যায়। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়' বদলে ‘শারীরিক শিক্ষা’ চলে আসে। শেষ সময়ে বিষয় বদলানোর কোন সুযোগ না পাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষা বিষয়েই পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মাদ্রাসায় কম্পিউটার-ল্যাপটপ থাকলেও দক্ষ শিক্ষক না থাকায় যন্ত্রগুলো অকেজো অবস্থাতেই পড়ে থাকে। রেজিস্ট্রেশন-ফরম পূরণের মতো অনলাইন নির্ভর কাজগুলো করা হয় বাজারের দোকানে গিয়ে। বাইরে ফরম পূরণ করতে গিয়ে ১৪৩ কোডের স্থলে ১৪২ কোড দেয়ায় বিষয় বদলে যায়। গেলো ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবার পর দাখিল পরীক্ষা চলাকালে ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের নজরে আসে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত শিক্ষকদের জানালে তারা নতুন বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেন। এজন্য কয়েকটি মাদ্রাসা পরীক্ষার আগের দিন বুধবার শিক্ষার্থীদের কাছে বই সরবরাহ করেছে।

পরীক্ষা শেষে আব্দুল আওয়াল নামের এক পরীক্ষার্থী জানান, যে বিষয় দু'বছর পড়ে পরীক্ষা দেবার কথা ছিল সে বিষয় আমরা পরীক্ষা দিয়েছি একদিন পড়ে। স্বাভাবিক কারণেই পরীক্ষা ভাল হয়নি। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হবেন। আরেক পরীক্ষার্থী জব্বার হোসেন বললেন, পুরোটাই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ভুল। আমরা জেনেছি পরীক্ষার দু'তিন দিন আগে। কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে আমাদের শিক্ষাজীবন এখন হুমকিতে পড়েছে। এজন্য তিনি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে মনিরাবাদ সুফিয়া একরামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম আযম মওদুদী ভুল স্বীকার করে আরটিভি অনলাইনকে জানান, ‘ঘটনাটি ধরে পড়ে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে। মঙ্গলবার শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের বই সরবরাহ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। দু'একদিন পড়ে পরীক্ষা ভাল হবার কথাও না।' এজন্য তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে দু:খ প্রকাশও করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম আরটিভি অনলাইনকে জানান, ওই মাদ্রাসাগুলো বিষয়টি আমাকে বলেছেন। ভুলের ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। আশা করছি, তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

এসজে/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh